সিলেট মিরর ডেস্ক
ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪
১১:৪৭ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪
১১:৪৭ অপরাহ্ন
সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর বলেছেন, ‘সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বাবুল আহমদ একটি উজ্জ্বল নাম। তাঁর রচিত ‘চার দশকের গল্প’ বইটি এই অঙ্গনের এক নির্মোহ ইতিহাস এবং অমূল্য দলিল। বইটি পড়লে পাঠকরা সিলেটের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে যেমন জানতে পারবেন তেমনি অনেক সত্যও উদঘাটন করতে পারবেন।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সিলনেট মিডিয়া হলে অনুষ্ঠিত অভিনয়শিল্পী ও নাট্যকার বাবুল আহমদ রচিত ‘চার দশকের গল্প’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনার সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বেতার নাট্যকার-নাট্যনির্দেশক ফোরাম সিলেটের আয়োজনে ও সিলনেট মিডিয়ার তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেতার নাট্যকার-নাট্যনির্দেশক ফোরাম সিলেটের সভাপতি নাট্যজন সুদ্বীপ চৌধুরী।
রিপন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন মুহিবুর রহমান একাডেমির প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ শামছ উদ্দিন এবং কবি ও লিটল ম্যাগ ভাস্কর সম্পাদক পুলিন রায়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক সিলেট ও বিশ্ববাংলা সম্পাদক মুহিত চৌধুরী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন এবং অভিনয়শিল্পী ও নাট্যকার এনামুল মুনীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমেদ নূর বলেন, ‘ নাট্যজন বাবুল আহমদ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর বর্ণাঢ্য পথচলার চার দশকের ঘটনাপ্রবাহ সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেছেন। অত্যন্ত নির্মোহভাবে প্রতিটি ঘটনা তথ্য লিপিবদ্ধ করেছেন। নিজের সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই বলেননি। স্মৃতিধর্মী কিংবা আত্মচরিত লেখার ক্ষেত্রে এখানেই তিনি ব্যতিক্রম। বইয়ের প্রতিটি পাতায় যেভাবে সঠিক সত্য তুলে ধরেছেন তা প্রশংসনীয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা তিনি সাদাকে সাদা বলেছেন, কালোকে কালো বলেছেন সাহসের সঙ্গে। এটা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। এই বইটি সিলেটের সংস্কৃতি জগতের সমৃদ্ধ ইতিহাসের উপাদান খুঁজে পাবেন গবেষকরা।’
তিনি বলেন, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক থেকে সিলেট একটি সমৃদ্ধ এলাকা কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণ ও চর্চার অভাবে তা ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে সেই ইতিহাস খুঁজে বের করে তার যথাযথ সংরক্ষণ ও প্রকাশনার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বইয়ের লেখক বাবুল আহমদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, নাট্যচর্চার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তাঁকে এতদূর আসতে হয়েছে। তিনি যা দেখেছেন তা-ই বইটি তুলে ধরেছেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কবি এ কে শেরাম, আব্দুল ওহাব খসরু, আব্দুস সবুর মাখন, চৌধুরী আমিরুল হোসেন, গোলাম সারওয়ার, কবি শাহেদা রসিদ পপি, মুনিরা সিরাজ চৌধুরী রাজু, জাহান আরা জায়গীরদার, অভিনয়শিল্পী নুর জাহান জেসমীন, খোয়াজ রহিম সবুজ, কলামিষ্ট মুহাম্মদ আব্দুল হক, গীতিকবি হরিপদ চন্দ, হৃষিকেশ রায় শংকর, হেলাল আহমদ, মো. নুরে আলম সোহাগ, আব্দুল্লাহ্ আল জুনাইদ, জুবের আহমদ সার্জন, মো: হাফিজুর রহমান, কবি মো. আরজু মিয়া, প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রবীণ নাট্যশিল্পী আশুতোষ ভৌমিক বিমলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নাট্যকার বাবুল আহমদ সিলেটের সাংস্কুতিক জগতে অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং রেখে চলেছেন। তিনি সিলেটের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বৃহৎ পরিসরে তুলে ধরার জন্য বাবুল আহমদের প্রতি আহ্বান জানান।