সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৫
০৩:১৪ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৫
০৫:৩৬ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তাদের লকার ফ্রিজ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সংরক্ষিত সব লকার ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রাখা সব কর্মকর্তার সেফ ডিপোজিট সাময়িক ফ্রিজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যাতে কোনো কর্মকর্তা রক্ষিত মালামাল লকার খুলে নিতে না পারেন।
বর্তমানে লকারে কোনো সম্পদ রাখতে এবং বের করতে দেওয়া হচ্ছে না।
দুদক মনে করছে, বিশেষ লকারে গোপনে অপ্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জমা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো ভাবেই যাতে লকার থেকে অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে না পারেন, সেজন্য সব লকার ফ্রিজ করার অনুরোধ জানিয়ে গত রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতিতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেইফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। এ সময় সাবেক ডেপুটি গভর্নরের ব্যক্তিগত লকার থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সেখানে সিলগালা করে সেফ ডিপোজিট রেখেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে মনে করছে দুদক।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের ‘দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক’ আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক ফ্রিজের সম্মতি দেন।
জিসি / ০৫