শ্বশুর বাড়ির বসত ঘরের আঁড়ে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত লাশ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন



শ্বশুর বাড়ির বসত ঘরের আঁড়ে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত লাশ


সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় শ্বশুর বাড়ি থেকে সৌরভ মিয়ার (২২) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার লংকাপাথারিয়া গ্রামের নিজ শ্বশুর বাড়ির বসতঘর থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। 

সৌরভের বাড়ি উপজেলার নোয়াবন্দ গ্রামে।

ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার  নোয়াবন্দ গ্রামের সাজ্জাত হোসেনের ছেলে সৌরভ মিয়ার (২২) সঙ্গে একই ইউনিয়নের পাশের লংকাপাথারিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে মাহিনূর আক্তারের (১৯) বিয়ে সাত থেকে আট মাস আগে সম্পন্ন হয়। গত মঙ্গলবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। রাগ করে স্ত্রী মাহিনূর ওইদিনই তাঁর বাপের বাড়ি লংকাপাথারিয়া গ্রামে চলে আসেন।  শনিবার বিকেলে স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে সৌরভ শ্বশর বাড়িতে আসেন। এ সময় শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁরা মাস খানেক ধরে এলাকার বাহিরে অবস্থান করছেন।  গতকাল শনিবার রাত নয়টার দিকে শ্বশুর বাড়িতে রাতের খাবার সৌরভ তাঁর -স্ত্রীকে নিয়ে এক সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে স্ত্রী মাহিনূরের  ঘুম ভাঙলে তিনি তাঁর স্বামীকে ওই বসতঘরের আঁড়ের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন।পরে পাড়া প্রতিবেশির লোকজন এসে জামাই সৌরভকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানান।খবর পেয়ে  রবিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ বসতঘরের ভেতর থেকে ঝুলন্ত  এই লাশটি উদ্ধার করেন।

ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়া উদ্দিন বলেন,, সৌরভ মিয়া মাদকাসক্ত ছিল বিষয়টি এলাকার সবাই জানেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা বলতে পারব না।

স্ত্রী মাহিনূর বার বার  বিলাপ  করে বলছিলেন, হে আল্লাহ, আমার সব শ্যাষ অইয়া গ্যাছে।তুমি আমার স্বামীরে ক্যান কাইরা নিলা। আমি কী অপরাধ করছিলাম।

সৌরভ মিয়ার বাবা সাজ্জাত হোসেন (৫০) বলেন, আমার ছেলেডা গাঁজা খাইত।হেরে চিকিৎসাও করাইছি।  কুনু লাভ অইছে না। গাঁজা খাওয়ার কারণে হে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন আছিইন। আমার ছেলের পোস্টমর্টাম (ময়নাতন্ত) করার দরকার নাই। এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না।

ধর্মপাশা থানার এসআই হাফিজুল ইসলাম বলেন, লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। সূরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। এই মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশটি সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।



এসএ-০১/এএফ-০৩