তাহিরপুরে বালি-পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা

তাহিরপুর প্রতিনিধি


এপ্রিল ০১, ২০২০
১২:২১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২০
১২:২১ পূর্বাহ্ন



তাহিরপুরে বালি-পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা
শাহ্ আরেফীন (র.) ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এলাকা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি ও বিন্নাকুলী এলাকায় এলজিইডি কর্তৃক নির্মণাধীন ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু হযরত শাহ্ আরেফীন (র.) ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এলাকার আশপাশের ১ কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরণের বালি-পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী সরেজমিনে গিয়ে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান, এএসআই বিল্লাল হোসেন, সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, কামাল হোসেন, আবির হাসান-মানিক এবং হযরত শাহ্ আরেফীন (র.) ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতুর প্রজেক্ট ম্যানেজার মিয়া এম ডি নাসিরসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া 'হুমকির মুখে যাদুকাটা নদীতে নির্মাণাধীন স্বপ্নের সেতু হযরত শাহ্ আরেফীন (র.) ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতুর পাশের তীর কেটে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে'- এমন খবরের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতু সংলগ্ন কোনো জায়গায় কোয়ারি করে বালি উত্তোলন করা হয়নি। সেতু নির্মাণের প্রয়োজনে কয়েকটি জায়গায় ছোট ছোট গর্ত করা হয়েছে। যা পরবর্তীতে ভরাট করা হবে জানিয়েছেন সেতু নির্মাণ ঠিকাদারী কর্তৃপক্ষ। তবে সেতু এলাকা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে বেশ কয়েকটি জায়গায় গর্ত করে বালি উত্তোলন করে স্তুপ করে রাখা হয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি আজ নির্মাণাধীন সেতু এলাকা পরিদর্শন করে সেতু নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সকলকে বলে দিয়েছি আজ থেকে এর উভয়দিকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে সকল ধরণের বালি-পাথর উত্তোলন ও গর্ত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলো। এর পরেও কেউ যদি রাতের আঁধারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বালি-পাথর উত্তোলন করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমি অথবা তাহিরপুর থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করার জন্য বলেছি। আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।