করোনার প্রভাব : বেকায়দায় নিম্ন আয়ের মানুষ

শহীদ আহমদ চৌধুরী, ফেঞ্চুগঞ্জ


এপ্রিল ০১, ২০২০
১১:৫১ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২০
১১:৫১ অপরাহ্ন



করোনার প্রভাব : বেকায়দায় নিম্ন আয়ের মানুষ

করোনাভাইরাসের কারণে স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশে যাতে এটি মহামারি না হয়, সে জন্য গত ১৬ মার্চ থেকে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৬ মার্চ থেকে অফিস-আদালতে সাধারণ ছুটি চলছে। বন্ধ রয়েছে যাবতীয় যান চলাচল ও দোকানপাট। ঘরের বাইরে চলাচলে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এমন অবস্থায় মহাবিপাকে পড়েছেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ।

বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। আর এর প্রভাব পড়েছে হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা ও গ্রাম-গঞ্জের ব্যবসায়ীদের মাঝে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা, তারা পড়েছেন বেশি বিপদে। সেই সঙ্গে যারা দিনমজুর, তাদের কাজ বন্ধ। সংসারে দেখা দিয়েছে অভাব-অনটন।

দিনমজুর মঞ্জুর মিয়া জানান, তারা পিতা-পুত্র দু'জন দিনমজুরের কাজ করে ৮ জনের সংসার চালান। আজ এক সপ্তাহ হলো তাদের হাতে কাজ নেই। কেউ কোনো অনুদান বা খাবার দেয়নি তাদের।

রিকশাচালক সোহেল বলেন, করোনাভাইরাসের জন্য সব কিছু বন্ধ, তাই মানুষ বের হয় না। আমরাও ভয়ে বের হই না। লুকিয়ে এদিক-ওদিক বের হলেও যাত্রী পাই না। এখন খাবো কী? আমাদের অনেক বড় সংসার। এখন পর্যন্ত কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি।

সিএনজি অটোরিকশার চালক কুটি মিয়া বলেন, গাড়ি বন্ধ আজ এক সপ্তাহ। আমরা খাবার যোগাতে পারছি না। আমাদের চিন্তা তো কেউ করে না।

মানুষের এই ঘরবন্দি থাকার প্রভাব পড়েছে ফেঞ্চুগঞ্জের সারকারখানা বাজার, কাঁচাবাজার, পালবাড়ী বাজারসহ সকল বাজারে। যেখানে সবজির পসরা নিয়ে বিক্রেতারা বসে থাকলেও বাজার ক্রেতাশূন্য। বিক্রি একেবারেই কম।

কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, 'লকডাউন' হওয়ার আগে বেচা-বিক্রি যা হতো তাতে মোটামুটি চলা যেত। এখন ক্রেতা নেই, বিক্রিও নেই। কিভাবে চলি? বিদ্যুৎ বিল, দোকান ভাড়া, ঘর ভাড়া কিভাবে দেব? এখন বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে।