ঘুষের বিনিময়ে রাশিয়া ও কাতার বিশ্বকাপ

খেলা ডেস্ক


এপ্রিল ০৮, ২০২০
০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৮, ২০২০
০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন



ঘুষের বিনিময়ে রাশিয়া ও কাতার বিশ্বকাপ

প্রায় এক দশক ধরে রাশিয়া ও কাতারকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছিল। অভিযোগ উঠে ২০১৮ ও ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব তারা ঘুষের বিনিময়ে কিনে নিয়েছিল। বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্যরা টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ভোট দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের মহাযজ্ঞের আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস সোমবার সেই লিখিত অভিযোগপত্র প্রকাশ করেছে।

এনিয়ে ফিফার সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই এফবিআই যে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল তা নতুন মোড় নিল। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগপত্র দায়ের করেছে দেশটির কৌঁসুলিরা। তাতে প্রথমবারের মতো বলা হয়েছে, রাশিয়া ও কাতারের প্রতিনিধিরা পুরুষদের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার যুদ্ধে জিততে ফিফার কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ছিলেন। অনেককে ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।

অভিযোগপত্রে নাম এসেছে দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবলের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত নিকোলাস লেওজ, ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের সাবেক প্রধান রিকার্ডো টেইক্সেইরা। দুজনের বিরুদ্ধে কাতারের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ফিফার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবেক কনকাকাফ প্রেসিডেন্ট ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর জ্যাক ওয়ার্নার রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিয়ে অফশোর শেল কোম্পানির মাধ্যমে নিয়েছেন ৪ মিলিয়ন পাউন্ডের ঘুষ। সেই থেকে টেইক্সেইরা ও ওয়ার্নার আজীবন নিষিদ্ধ হয়ে আছেন।

ফিফার সাবেক কো মেম্বার গুয়েতেমালা ফুটবলের চিফ রাফায়েল সালগুয়েরোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ঘুষের বিনিময়ে রাশিয়াকে ভোট দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। তিনিও গত বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন।

অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ রয়েছে, সম্প্রচার স্বত্ব পেতে দক্ষিণ আমেরিকান টেলিভিশন জায়ান্ট টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্সের সাবেক কমকর্তারা দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ছিলেন। 

এআরআর-১০/বিএ-২৭