বড়লেখায় প্রতিবেদনের অপেক্ষায় ৩৯ জন

বড়লেখা প্রতিনিধি


মে ০৬, ২০২০
১১:০৪ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০৬, ২০২০
১১:০৪ অপরাহ্ন



বড়লেখায় প্রতিবেদনের অপেক্ষায় ৩৯ জন

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত কি-না তা জানার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ৩৯ জন। তাদের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের অনেকেরই করোনার কোনো উপসর্গ নেই। 

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার কোনো ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ ছাড়াই এক নারীর (৩৫) শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ২৫ এপ্রিল ওই নারীর স্বামী করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও তাঁর দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ফলে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা ৩৯ জনের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।    

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (০৫ মে) দুপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আরও ৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের  নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে গেল কয়েকদিনে মোট ৮৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে গত সোমবার ১৬ জন এবং মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) আরও ৪ জনসহ এ পর্যন্ত ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দুই নারীর দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের একজনের বাড়ি বড়লেখা পৌর এলাকায়। অন্যজনের বাড়ি উপজেলার গাংকুল এলাকায়। প্রশাসন তাদের বাড়ি লকডাউন করে রেখেছে। বাকি ৪২ জনের কেউই করোনায় আক্রান্ত নন। 

এ বিষয়ে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রত্নদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘বড়লেখায় আরও ৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৮৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই নারীর। এর আগে আও এক ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। তারা একজন সিলেটে সামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি দুজন বাড়িতে আছেন। তারা এখনও ভালো আছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘এখন যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগেরই কোভিড-১৯ এর কোনো উপসর্গ নেই। অনেকেই ভয়ে পরীক্ষা করাচ্ছেন। তবে কারো কারো জ্বর, সর্দি, কাশি রয়েছে।’ প্রতিবেদন দেরিতে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষায় যাদের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে তাদের রিপোর্ট দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর যাদের করোনা নেগেটিভ আসে তাদের রিপোর্ট দেরিতে পাঠানো হচ্ছে।’   

 

এজেএল-০১/এনপি-১৫