শায়েস্তাগঞ্জে বসলেও জমেনি ইফতারের বাজার

শায়েস্তাগঞ্জ সংবাদদাতা


মে ০৮, ২০২০
১০:৫৫ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০৮, ২০২০
১০:৫৫ অপরাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে বসলেও জমেনি ইফতারের বাজার

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মধ্যেই এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। তবে এবারের রমজান ঠিক আগের মতো নয়।

রমজান মাসের প্রায় অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কোথাও নেই ইফতার কেনাবেচার ধুম। শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে নেই বাহারি ইফতার কেনাবেচার ব্যস্ততা। এ এক অন্যরকম রমজান মাস উদযাপন করতে চলেছে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শত শত বছর ধরে রমজানে ইফতার বিকিকিনি হয়ে এলেও এবারের দৃশ্য ভিন্ন। নেই বাহারি ইফতার, নেই হাঁকডাক।

সরেজমিনে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জের গলিতে গলিতে নেই বাহারি ইফতারের মেলা। তবে কোনো কোনো দোকানদার সীমিত আকারে কিছু ইফতার বিক্রি করছেন। এবার অন্যবারের মতো আস্ত মুরগির ফ্রাই, জালি কাবাব, সুতি কাবাব, টিকা কাবাব, শাহী কাবাব, কবুতরের রোস্ট, কোয়েলের রোস্ট, ডিম চপ, ডিম কোপ্তা, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, দইবড়া, হালিম, লাচ্ছি, পনির পাচ্ছেন না রোজাদাররা।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরের গুলে মদিনা হোটেলের ম্যানেজার কাউসার আহমেদ বলেন, ভাই ১ মাস ১২ দিন ধরে দোকান বন্ধ। বাঁচার আর কোনো উপায় দেখছি না। তাই জীবন বাঁচাতে কিছু জিনিস বানাচ্ছি বিক্রি করার জন্য।

সুতাং বাজারের ব্যবসায়ী কালা মিয়ারও একই অবস্থা। তিনি বলেন, জিলাপি কেজি ৮০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা ও পেঁয়াজু ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কিন্তু এবার ক্রেতা নেই বললেই চলে। আর দোকান মাত্র দুই ঘন্টা খোলা রাখেন তিনি। তবে রোজাদাররা হরেক রকম ইফতার না পেয়ে ফলমূলের দিকে নজর দিচ্ছেন। অনেকেই ইফতারে আপেল, মাল্টা, তরমুজ কিনে নিচ্ছেন হাতের নাগালের দামের মধ্যে।  

ফল কিনতে আসা পুটিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক সুজন মিয়া জানান, করোনার কারণে সবরকম ইফতারের আইটেম বাড়িতেই তৈরি করে খান তারা। তিনি খেজুর নিতে এসেছেন বাজারে।

 

এসডি/আরআর