অসহায়দের পাশে হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন

বিশেষ প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল


মে ০৮, ২০২০
১১:২০ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০৮, ২০২০
১১:২০ অপরাহ্ন



অসহায়দের পাশে হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন

হাজারও অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছেন সেলিম আহমেদ। কারও ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন, কারও মেয়ের বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করে যাচ্ছেন তিনি। শুধু এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও এলাকায় গড়ে তুলেছেন হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ একজন সমাজসেবী, কাতার প্রবাসী ও ব্যবসায়ী। ইতোমধ্যে এলাকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে দরিদ্র অসহায় অনেক মানুষের বাড়িঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন তিনি। তিনি এলাকায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করে ইট সলিংয়ের রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, সাম্প্রতিক করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের পাশেও আশির্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন। ইতোমধ্যে প্রায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে এই ফাউন্ডেশন। হাজী সেলিম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষজনের মাঝে এই ত্রাণসামগ্রী দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।

কাতার থেকে মুঠোফোনে সেলিম আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে আমি অনেক ধন-সম্পদ অর্জন করেছি। আর এ ধন-সম্পদ যদি অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজে না লাগে, তবে এ সম্পদ দিয়ে আমি কী করব?

তিনি বলেন, পৃথিবীতে জন্মেছি যখন আমাকে মরতেও হবে। তাই বিবেকের তাড়নায় অসহায় হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছি মাত্র। যতদিন বেঁচে আছি, অসহায় হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। 

সাতগাঁও এলাকার তরুণ সমাজকর্মী রিমন ইসলাম জানান, হাজী সেলিম ভাই অসহায় মানুষের অভিভাবক। তিনি অসহায় মানুষের কল্যাণে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তা অনেক জনপ্রতিনিধিও করেন না।

হাজী সেলিম ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী আব্দুল কাদির জিলানী বলেন, সেলিম ভাই বেশিরভাগ সময়ই কাতারে থাকেন। কাতারে তাঁর অনেক ব্যবসা রয়েছে। তাই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সমস্ত ত্রাণসামগ্রী এবং অসহায় মানুষের ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া, মসজিদ-মন্দিরে সহায়তাসহ প্রায় সমস্ত কাজ হাজী সেলিম ভাইয়ের নির্দেশে আমি পরিচালনা করি।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে আমরা তা পৌঁছে দিয়েছি।

তিনি বলেন, হাজী সেলিম সাহেবের নির্দেশনা রয়েছে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাতগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যেকটি মসজিদের ইমাম এবং মুয়াজ্জিনকে রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ উপহারসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার।

সাতগাঁও এলাকার হতদরিদ্র রহিমা বেগম (৪৫) বলেন, আমার ঘর নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। বৃষ্টি এলে ঘরে পানি জমত। এ বিষয়টি হাজী সেলিম সাহেব জানার পর আমাকে নতুন ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। আমি অন্তর থেকে হাজী সেলিম সাহেবের জন্য দোয়া করি।

 

আরআর