সিলেটে অফিসপাড়ায় উপস্থিতি কম, নেই প্রাণচাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক


মে ৩১, ২০২০
০৮:৫৮ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ৩১, ২০২০
০৯:২০ অপরাহ্ন



সিলেটে অফিসপাড়ায় উপস্থিতি কম, নেই প্রাণচাঞ্চল্য

করোনাভাইরাস নিয়ে শঙ্কার মধ্যেই খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক-বিমা। দীর্ঘ ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে আজ রবিবার (৩১ মে) কর্মস্থলে যান সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে প্রথম দিনে সিলেটের অফিস পাড়ায় ছিল না প্রাণচাঞ্চল্য। উপস্থিতিও ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম। 

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে আজ সকাল থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে সিলেট নগর। কপাট খুলে দোকানপাট-শপিংমলের। অন্য দিনগুলোর তুলনায় যানবাহন চলাচলও বেড়ে যায়। তবে, প্রথম দিনে অফিসপাড়ায় উপস্থিতি ছিল কম। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত হলেও সেবাগ্রহীতার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। তাই প্রথম দিন সারাদিন বসেই কাটিয়েছেন অনেকে। কাজ না থাকায় বিকেল হবার আগেই অনেকে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। 

সকালে সিলেট সিটি করপোরেশনে গিয়ে দেখা যায়, নগর ভবন প্রাঙ্গনে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন ভেতরের যে দুটি গেট দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল ভবনে প্রবেশ করতেন তার একটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অন্যটিতে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে মূল ভবনে। ভবনে প্রবেশের সময় সবার মুখেই মাস্ক দেখা যায়। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই তারা ভবনে প্রবেশ করেন। 

ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজনিজ ডেস্কে বসে আছেন। তবে, সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় তাদের হাতে খুব একটা কাজ নেই। অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি অফিসের চিত্রও ছিল প্রায় একই। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাটিয়েছেন অলস সময়। 

তবে, অফিস খোলার প্রথম দিনে ব্যাংকপাড়ার ছিল ভিন্ন চিত্র। আজ প্রায় সব ব্যাংকেই গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। গ্রাহকদের মুখে মাস্ক থাকলেও তাদেরকে শারীরিক দূরত্ব খুব একটা বজায় রাখতে দেখা যায়নি। 

দুপুর ১২টার দিকে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড তালতলা শাখায় গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। সেখানেও উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক পরলেও অনেককেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি। আব্দুল আলিম নামের এক গ্রাহকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ছিলাম। সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা থাকলেও ঘরের বাইরে বের হওয়ার সাহস পাইনি। ওমান থেকে আমার ভাই টাকা পাঠিয়েছে। দীর্ঘদিন পর সেই টাকা তুলতে এসেছি।’ শারীরিক দূরত্ব না মানা সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্দুস সালাম নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘আমাদের কাছে বিষয়টি সম্পূর্ণ নতুন। তারপরও চেষ্টা করছি।’ 

গ্রাহকরা স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি না মানলেও ভেতরে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মাচারীরা দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কার্যক্রম পরিচালনা করেন। নগরের বারুতখানায় অবস্থিত ডাচবাংলা ব্যাংক, জিন্দাবাজারে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকেও একই চিত্র দেখা দেছে। 

এনপি-১৫