বিশ্বনাথে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি


জুন ০১, ২০২০
০৪:২৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০১, ২০২০
০৪:২৬ অপরাহ্ন



বিশ্বনাথে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

সিলেটের বিশ্বনাথে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঈদুল ফিতরের দিন (২৫ মে) রাতে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে আজ সোমবার (১ জুন) বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-১)। 

এ মামলার অসামিদের মধ্যে আছেন- উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের বশিরপুর গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে মিজান (২০), একই গ্রামের বারিক মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ জসিম (২১) ও আব্দুল মিয়ার ছেলে আফিজ (২০)।

থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, কিছুদিন পূর্বে ভিকটিম কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত মিজানের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মিজানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায়ই কথা হতো। ঈদের দিন (২৫ মে) দিবাগত রাত ১২টায় কিশোরীকে ফোন করে দেখা করতে বলেন মিজান। তখন ওই কিশোরী ঘর থেকে বের হলে মিজান ও তার সহযোগী জসিম, আফিজসহ আরও ২/৩ জন যুবক তাকে ঝাপটে মুখ চেপে ধরে। এরপর তারা মেয়েটিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে (সরকারি পুকুরের পাড়ে) নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভোরে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা করুনা চন্দ্র মেয়েটিকে উলঙ্গ, রক্তাক্ত ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে ডেকে তুলে পরিচয় জানতে পারেন। এসময় তিনি তার ঘর থেকে কাপড় এনে মেয়েটির শরীর ঢেকে তার নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন। বাড়িতে ফেরার পর মেয়েটির কাছ থেকে বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানার পর তারা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন। এরপর ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করবে ডিবি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এমএএস/এনপি-০২