শামসুদ্দিনে নমুনা দিতে ভিড়, চালু হচ্ছে নতুন বুথ

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ০২, ২০২০
১০:৩১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ০২, ২০২০
১০:৩২ পূর্বাহ্ন



শামসুদ্দিনে নমুনা দিতে ভিড়, চালু হচ্ছে নতুন বুথ

সিলেট নগরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। গত মার্চের শুরুতে হাতেগুনা কয়েকজন প্রতিদিন এখানে নমুনা জমা দিতেন। তবে এখন প্রতিদিনই ভিড় করছেন শতশত মানুষ। এতে মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব। অনেকের মুখে নেই মাস্কও। 

চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা পরীক্ষার নমুনা জমা দেয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব না মানার কারণে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে সিলেট জেলায় করোনার উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সিলেটের সকল উপজেলা হাসপাতাল  থেকে এখানে নমুনা আসে। তবে সিলেট সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। পরে তা ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়।   

গত মার্চ থেকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শুরুতে প্রতিদিন ৮-১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হতো। পরে প্রতিদিন ৪০-৫০ জন এই হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে এখন প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জন নমুনা জমা দিতে এই হাসপাতালে ভিড় করছেন। এতে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা হিমশিম খাচ্ছেন ভিড় সামলাতে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের স্বজনরাও ভিড় করছেন হাসপাতালে প্রাঙ্গনে।

সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মহাপাত্র সিলেট মিররকে বলেন, রোগীদের চাপ সামলানো আমাদের পক্ষে কঠিন হচ্ছে। প্রতিদিন শতশত লোক নমুনা দিতে এখানে ভিড় করছেন। চেষ্টা করেও শারীরিক দূরত্ব মানানোও সম্ভব হচ্ছে না। 

তিনি বলেন, সিলেট নগরে নমুনা সংগ্রহের বুথ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সিটি করপোরেশন আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আশা করছি সামনের সপ্তাহেই শামসুদ্দিন হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের জন্য আরও একটি বুথ চালু হবে।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুর ইসলাম সিলেট মিররকে বলেন, সিটি করপোরেশনের সহযোগীতায় শীঘ্রই শামসুদ্দিনে নমুনা সংগ্রহের আরেকটি বুথ চালু হবে। আমরা বুথ স্থাপনের খরচ ও জনবল দিব। প্রতিদিন শতাধিক নমুনা সংগ্রহ করা যাবে। 

তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালের কর্মরতরা করোনা আক্রান্ত হলেও ঝুঁকি ভাতা পান।আমাদের যারা কাজ করবেন তারা এই সুযোগ পাবেন না। আমাদের কর্মকর্তাদের ঝুঁকি ভাতা দিলেই কাজ শুরু করবো।

এনসি/বিএ-০৯