সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ০৩, ২০২০
০৩:০৯ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০৩, ২০২০
০৩:৪৩ অপরাহ্ন
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা নিরীহ নরসুন্দর শিপুল চন্দের জান-মাল রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোগলাবাজার থানার বৃহত্তর দাউদপুরের ৫ পাড়ার বাসিন্দারা এই সহযোগিতা কামনা করেন। বৃহত্তর দাউদপুরের ৫ পঞ্চায়েত পশ্চিম দাউদপুর, পূর্ব দাউদপুর, দাউদপুর গাংপার, দাউদপুর মাঝপাড়া ও দাউদপুর কোনারপাড়ার শালিস ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. সুরুজ আলী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গরিব এ পরিবারের ভিটেমাটি রক্ষায় তারা স্বোচ্ছার হওয়ার কারণে প্রতিপক্ষ সুরেন পাল গংরা বিষয়টিকে ‘সা¤প্রদায়িক সহিংসতায়’ রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য নানাভাবে অপপ্রচারের পাশাপাশি এলাকার মুরব্বিদের বিরুদ্ধেও একাধিক হয়রানিমূলক মামলাও করেছে তারা। ন্যায় বিচার ও এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সামাজিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী সুরেন পাল গংদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দাউদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে নরসুন্দর শিপলু চন্দদের বাড়ি। একই গ্রামের বীরেন্দ্র পালের ছেলে সুরেন পাল ও তার ভাই-ভাতিজারা বসবাস করেন; যারা প্রতারক ও অসৎ প্রকৃতির লোক। তারা নিরীহ নরসুন্দর শিপুল চন্দদের নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানি করে আসছে। এমনকি সরকারি অনুদানে নির্মিত সড়ক ব্যবহারে বাধা প্রদান করছে। এই রাস্তায় চলাচল করতে হলে তাদের ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, তাদের নানা হয়রানীতে অতিষ্ঠ হয়ে থানায় শিপলুর সাধারণ ডায়েরি করে। এর প্রেক্ষিতে মোগলাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতাও পায় এবং ভবিষ্যতে রাস্তা বন্ধ না করার জন্য সুরেন পালদের কঠোর সতর্ক করে। কিন্তু পুলিশের এই নির্দেশের পরও সুরেন পালরা গায়ের জোরে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করেনি। শেষপর্যন্ত এলাকার মুরব্বিয়ান ও জনপ্রতিনিধিরা বিগত ৩ মে সকালে সুরেন পালদের বাড়িতে গিয়ে রাস্তার উপর থেকে প্রতিবন্ধকতা অপসারণের আহবান জানান। তখন সুরেন পাল মুরব্বিয়ানদের ডাকে সাড়া না দিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন কল করলে মোগলাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে অবশ্য সুরেন পাল নিজেই রাস্তার উপর অবৈধভাবে নির্মিত বাঁশ-পালার ঘর তুলে নিতে বাধ্য হয়। ফলে রাস্তা আবারও জনসাধারণে চলাচলের উপযোগী হয়।
এরপর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুরেন পাল ষড়যন্ত্রমুলকভাবে সা¤প্রদায়িক সহিংসতার রূপ দিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব দাশ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রামিমুল ইসলাম লিহিনসহ বৃহত্তর দাউদপুরের ৫ পাড়ার পঞ্চায়েতের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে দায়ী করে অপপ্রচার শুরু করে। এছাড়া, সুরেন পালের ছোট ভাই নিরঞ্জন পাল বাদী হয়ে শিপলু চন্দসহ এলাকার মুরব্বিয়ানদের বিরুদ্ধে তার বাড়িঘর লুটপাট ও গাছ-গাছালি কেটে নেয়ার অভিযোগে মামলা করে। পরের দিন শিপলু চন্দের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে সুরেন গংরা। একই সাথে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এ নিয়ে মোগলাবাজার থানায় মামলা (নং-০৬/৬২) করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে সুরেন পালের পরিবার বিভিন্নভাবে শিপুল চন্দ ও তাকে সহায়তাকারী এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ছাড়া নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. মোবারক আলী, মো. আলী আহমদ, আলা উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, বিজিত পাল, উস্তার আলী, সুভাষ চন্দ, গোলাপ মিয়া, ভজন দাশ, লিটন আহমদ, মুইয়ব আলী, আব্দুল কাইয়ূম, শিপুল পাল, অভিযুক্ত সুরেন পালের আপন চাচাতো ভাই অজিত পাল ও বিজিত পাল।
এএন/১২