কানাইঘাটে পাহাড়ি ঢল, দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন

মাহবুবুর রশীদ, কানাইঘাট


জুন ০৩, ২০২০
০৮:৩৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৩, ২০২০
০৮:৩৬ অপরাহ্ন



কানাইঘাটে পাহাড়ি ঢল, দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের কানাইঘাটে সুরমা ও লোভা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। আজ বুধবার (৩ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গত সোমবার রাত থেকে লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের নদী ভাঙনকবলিত কুওরঘড়ি, বনগৌরিপুর, দক্ষিণ লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের সুরমা ডাইকের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে কুওরঘড়ি মন্দিরের ঘাট এলাকায় সুরমা ডাইকের কয়েক ফুট রাস্তা পানির স্রোতে একেবারে ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।

নদী ভাঙনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খান। তিনি সুরমা ডাইকের ভাঙনের বিষয়টি সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম ও সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। সেখানে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে নদী ভাঙন প্রতিরোধ ও ভাঙনকবলিত এলাকা মেরামতের জন্য বাঁশের গড় ও বালু-মাটির বস্তা ফেলার কাজ শুরু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান।

এ সময় লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জেমস্ লিও ফারগুসন নানকা ও সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রুবেল সরকারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে এলাকার অনেকের সহায়তায় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাৎক্ষণিক বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে শ্রমিক লাগিয়ে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ভাঙনকবলিত স্থানে গড় ও মাটি-বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সুরমা নদীর মারাত্মক ভাঙনের কবলে রয়েছে সুরমা ডাইকের বনগৌরিপুর, কুওরঘড়ি ও দক্ষিণ লক্ষীপ্রসাদ এলাকার নদীর তীরবর্তী ৩/৪ কিলোমিটার স্থান। প্রতিবছর নদী ভাঙনে সুরমা ডাইকের রাস্তা বিলীনের পাশাপাশি অনেকের ফসলি জমি ও বাড়ি-ঘর সুরমার ভয়াল থাবায় বিলীন হচ্ছে। এসব এলাকার নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্লক স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান বলেন, সুরমা ডাইকের কুওরঘড়ি মন্দিরেরঘাট নামক স্থানে ভাঙনের খবর পেয়ে আমি সেখানে ছুটে যাই এবং ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কুওরঘড়ি ও লক্ষীপ্রসাদ এলাকার নদী ভাঙন প্রতিরোধে সরকারিভাবে চলতি বছর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এদিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুরমা ও লোভা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুরমা ডাইকের তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী বন্যার প্রাদুর্ভাব থেকে কানাইঘাটবাসীকে রক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নদী ভাঙনকবলিত এলাকা মেরামত করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

এমআর/আরআর-১৪