শপিং মল, দোকান খুললেও ক্রেতা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ০৪, ২০২০
০৩:৫০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৪, ২০২০
০৫:৩২ অপরাহ্ন



শপিং মল, দোকান খুললেও ক্রেতা নেই

করোনাঝুঁকির মধ্যেই ঈদের পর সিলেটে বেশিরভাগ মার্কেট ও বিপণিবিতান খুলেছে। তবে দোকানপাট খুললেও ক্রেতার উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়ছে না। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন করোনা ঝুঁকির জন্য ক্রেতারা দোকানগুলোতে আসছেন না। করোনা সংক্রমণ কমলেই আবারও জমজমাট হবে বেচাকেনা।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) নগরের বিভিন্ন শপিং মল, দোকানপাট ঘুরে দেখা যায় এই চিত্র। ব্যবসায়ীরা সরকারি নিয়ম মেনে সকাল থেকেই দোকান খুলে বসে আছেন। কিন্তু, ক্রেতাদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ক্রেতাদের উপস্থিতি না থাকায় এসময় অলস সময় পার করতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বড় শপিংমলগুলোর সামনে বসেছে জীবাণুনাশক টানেল। এছাড়া দোকানে প্রবেশের সময় হাতে দেওয়া হচ্ছে জীবাণুনাশক। ব্যবসায়ীরা বলছেন তারা জীবিকার তাগিদেই দোকান খুলে বসেছেন। সাধারণ ছুটির দীর্ঘ সময় তারা দোকান বন্ধ রেখেছেন। আর এতে করে অনেকেই পরিবার নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এটিএম শোয়েব সিলেট মিররকে বলেন, 'এখন সিলেটে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই নগরের মানুষ সচেতন হচ্ছেন। সংক্রমণ বাড়ায় মানুষজন এখন শপিংমল বা বিপণিবিতানের দিকে পা ফেলছেন না।’

তিনি আরও বলেন, 'এখন পর্যন্ত যেসব শপিং মল বা দোকানপাট খুলেছে তাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। সংক্রমণ কমলেও এটি অব্যাহত থাকবে।'

তবে এখনও নগরের অনেক বিপণিবিতান বন্ধ রয়েছে। এসব বিপণিবিতানের ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিজেদের এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা দোকান খুলছেন না। এছাড়া বছরের এই সময়টাতে এমনিতেই ক্রেতা কম হয়। তার সঙ্গে এখন প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এতে করে ক্রেতাদের উপস্থিতিও খুব একটা হবে না। তাই তারা আপাতত দোকান বন্ধ রাখছেন।

শুকরিয়া মার্কেটের কাপড়ের ব্যবসায়ী খায়রুল হাছান বলেন, ‘ঈদের পর দোকান খুলেছি। ঈদের পর এমনিতেই ক্রেতা কম হয়। অন্যান্য বছর ঈদে অনেক কেনাবেচা হয়। তবে, এবার তো ঈদে দোকান খুলতে পারিনি। আশাকরি দ্রুতই সব স্বাভাবিক হবে, তা না হলে আমাদের পরিবার নিয়ে বাঁচাটা খুব কঠিন হয়ে যাবে।’

লতিফ সেন্টারের ব্যবসায়ী ঝুটন পাল বলেন, ‘ক্রেতা একেবারেই নেই। সংক্রমণ না কমলে ক্রেতা আসারও কোনো সম্ভাবনা দেখি না। এই মুহূর্তে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারি সহায়তায় কোনো বিকল্প নেই।’

এদিকে, শপিং মল বা বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতা না থাকলেও ভিড় বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে। কাঁচাবাজারগুলোতে সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা দেখা যায়নি সাধারণ মানুষের মধ্যে। যে যেভাবে পারছেন, কেনাকাটা করছেন। অনেক ক্রেতাকে মাস্ক পরতেও দেখা যায়নি। আবার অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও সঠিকভাবে ছিল না।

এনএইচ/বিএ-২৫