ওসমানীনগর প্রতিনিধি
জুন ০৫, ২০২০
১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ০৫, ২০২০
১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের ঈশাগ্রাই গ্রামের শিপন হত্যার প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ও মামলার প্রধান আসামি জয়নুল হক ধন মেম্বারকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার ও তার বিচার দাবিতে এবার রাস্তায় নেমেছেন নিহত শিপনের মা সুফিয়া বেগম (৫০)সহ গোটা গ্রামবাসী।
আজ (৪ মে) বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈশাগ্রাই গ্রামবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি তার ছেলে হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানান সুফিয়া বেগম।
মানববন্ধনে নিহত শিপনের মা, বাবা আশিক মিয়া, বোন নাজমিন বেগম ও বড় ভাই হত্যা মামলার বাদী রিপন মিয়া শিপন হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় ধন মেম্বার কর্তৃক নির্মম হত্যার চিত্র সকলের সামনে বর্ণনা করেন। তারা অভিযোগ করেন, ধন মেম্বারের লোকজন মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে মামলার বাদী ও সাক্ষীদেরকে অব্যাহত হুমকি প্রদান করে আসছে। ধন মেম্বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারসহ বিভিন্ন জনের সাথে ফেসবুক নিয়মিত চ্যাট করছে। এলাকার অনেকের সাথে তার যোগাযোগ থাকলেও পুলিশ ধন মেম্বারকে খুঁজে পাচ্ছে না।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আশিক মিয়া, আক্তার মিয়া, নেছাওর মিয়া, সুয়েব আহমদ, টুনু মিয়া, ছোরাব উল্যাহ, আজমল মিয়া, খাজা বকস, আলফু মিয়া, আব্দুস সালাম, খায়ের আহমদ, কওছর মিয়া, আব্দুল হক, সৈয়দ মিয়া নিহত শিপনের বাবা আশিক মিয়া, মা সুফিয়া বেগম, বোন নাজমিন বেগম, ভাই রিপন মিয়াসহ এলাকার কয়েক শতাধিক নারী পুরুষ।
উল্লেখ্য, গত (৬ মে) ইফতারের আগ মুহূর্তে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ঈশাগ্রাই গ্রামে আশিক মিয়া গংদের সাথে স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জয়নুল হক ধন মিয়ার সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে শিপন মিয়া ছুলফির আঘাতে গুরুতর আহত হয় এবং উভয় পক্ষের অন্তত ১৪জন আহত হন।
গুরুতর আহত শিপনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে সাতটার দিকে শিপন মারা যায়। পর দিন শিপনের বড় ভাই বাদী হয়ে ধন মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের নামে ওসমানীনগর থানার হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রাতেই পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে কিন্ত হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১মাস হয়ে গেলেও মামলার প্রধান আসামি জয়নুল হক ধন মেম্বারসহ অন্যদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ইউডি/বিএ-০৩