গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
জুন ১৯, ২০২০
০১:০৮ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ১৯, ২০২০
০১:০৮ অপরাহ্ন
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে চলমান লকডাউনে ভারতের বিভিন্ন যায়গায় আটকে পড়া আরও চার বাংলাদেশি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় তামাবিল ইমিগ্রেশন হয়ে তারা দেশে ফেরেন।
জানা যায়, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতের বিভিন্ন যায়গায় লকডাউনে আটকে পড়েন চার বাংলাদেশি। অবশেষে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার তারা তামাবিল হয়ে দেশে ফিরেন।
তারা হলেন, আতানিরিলা চাকমা, আতিয়া চাকমা, মো. কবির মিয়া, আমির হোসেন।
তামাবিল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইমিগ্রেশন সুবিধা প্রায় আড়াই মাস ধরে স্বাভাবিকভাবে বন্ধ থাকায় ভ্রমণ ভিসায় ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের চার নাগরিক আটকে পড়েন। দুই দেশের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের যোগাযোগের মাধ্যমে আবেদন করা ওই ৪ নাগরিককে ইতিমধ্যে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এ সময় বিজিবি, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তামাবিল স্থলবন্দরে নিয়োজিত মেডিকেল টিমের দায়িত্বে থাকা গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদুল ইসলাম বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতে আটকে থাকা ৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
তামাবিল ইমিগ্রেশন হয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তারা সকলেই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।
এ বিষয়ে তামাবিল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) সৈয়দ মওদুদ আহমেদ রুমি বলেন, স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম প্রায় আড়াই মাস ধরে স্বাভাবিকভাবে বন্ধ রয়েছে। যে কারণে বিভিন্ন সময়ে বিজনেস, ভ্রমণ ও স্টুডেন্ট ভিসায় ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের কিছু নাগরিক আটকে পড়েছিলেন। তারা দূতাবাসের মাধ্যমে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ করে পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজকেও আরও ৪ বাংলাদেশি তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফিরছেন। দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৫ জুন ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যসহ ১০ জন বাংলাদেশি, ২ মে ১ নারীসহ ১১ জন ও ২৮ মে ৪ জন এবং ৩ জুন আরও দুই বাংলাদেশি তামাবিল দিয়ে দেশে ফিরেছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন
এমআর/বিএ-১২