'প্রকৃতির পাশে না দাঁড়ালে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মানুষ'

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি


জুন ২০, ২০২০
০৭:১৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ২০, ২০২০
০৭:১৬ পূর্বাহ্ন



'প্রকৃতির পাশে না দাঁড়ালে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে মানুষ'
জাফলংয়ে প্রতীকী গণজমায়েত

কেবল মানুষের সচেতনতাই পারে প্রকৃতি ও পরিবেশকে রক্ষা করতে। পৃথিবীর ১৮ লাখ প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক বুদ্ধিমান প্রাণী। প্রকৃতিপ্রদত্ত সেই বিবেক ও বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে এখন মানুষই প্রকৃতির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেজন্য নানারূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ আজ বিপন্ন ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই প্রকৃতির সঙ্গে সমঝোতা ছাড়া কোনোভাবেই মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষা করা সম্ভব নয়। 

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এক প্রতীকী গণজমায়েতে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। আজ শনিবার (২০ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় পরিবেশবাদী সংগঠন সারি নদী বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ের ডাউকি নদীর তীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে ধরে সমাবেশে অংশ নেন। 

পর্যটন ব্যবসায়ী কুটি মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রতীকী গণজমায়েতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট জেলা সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক ও পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান লেবু। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সারি নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদী। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জাফলং পর্যটন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া, বল্লাঘাট পাথর উত্তোলন সমিতির সভাপতি আব্দুস শহিদ, ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম, চেরাগ মিয়া, সাংবাদিক সুহেল আহমদ, শাহ আলম, মিনহাজ মির্জা, পর্যটন ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া, আসাদ আলী প্রমুখ।

গণজমায়েতে বক্তারা বলেন, করোনা নামক এক অদৃশ্য ভাইরাসের কারণে পুরো মানবজাতি যখন ক্লান্ত, তখন দেখা যাচ্ছে প্রকৃতি নবউদ্যমে জেগে উঠছে। প্রকৃতির এ নবজাগরণ মানুষের জন্য আশির্বাদ হলেও এটি মানবজাতির জন্য লজ্জাকরও বটে। তাই ভবিষ্যতে মানবজাতিকে যাতে এরকম লজ্জাকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেজন্য প্রকৃতির সঙ্গে মিলে চলার কোনো বিকল্প নেই।

চলমান বর্ষাকালে বৃক্ষরোপণের উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেন, প্রত্যেক মানুষের উচিত নিজ নিজ বসতভিটায় বৃক্ষরোপণ করা। বন ও বন্যপ্রাণীর প্রতি আরও মানবিক ও যত্নশীল হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তারা। 

প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ে প্রাণ, পরিবেশ ও প্রকৃতির ইতিবাচক পরিবর্তনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলা হয়, এ পরিবর্তনকে আগামীতেও ধরে রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নদীর দখল, দূষণ ও ভরাট রোধ করা এবং টিলা, পাহাড় ও বন বিধ্বংসী সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্যও সবার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।

 

এমএম/আরআর-১২