নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৩, ২০২০
০৭:৫২ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৩, ২০২০
০৭:৫২ অপরাহ্ন
সিলেট করোনা আইসোলেশন সেন্টার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপদ রাখতে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ পদ্ধতির ভেন্টিলেশন সিস্টেম ‘হ্যাপা ফিল্টার সিস্টেম’। এই ফিল্টার মেশিন প্রতি মিনিটে ৬০ বার বাতাসের মাধ্যমে করোনার জীবাণু গ্রহণ করে বিশুদ্ধ বাতাস প্রবাহিত করে। এর মাধ্যমে ৯৯.৯৭ শতাংশ বিশুদ্ধ বাতাস সরবরাহ হয়।
সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী এ ফিল্টার সিটি করপোরেশনকে প্রদান করেছেন। আর সিলেট সিটি করপোরেশনের তত্ত¡াবধানে হাসপাতালে এই ফিল্টার স্থাপিত হয়। গত ২০ জুন এই ফিল্টার স্থাপনের কাজ শেষ হয়।
শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন, ‘হ্যাপা ফিল্টার আইসিইউয়ের মধ্যে নেগেটিভ প্রেশার তৈরী করে। যার ফলে সেখানে যে জীবাণুগুলো থাকে তা আর থাকতে পারে না। ফিল্টারটি জীবাণু গ্রহণ করে বিশুদ্ধ বাতাস প্রবাহিত করে। এটির কাজ প্রায় এক মাস আগে শুরু হয় আর গত ২০ জুন শেষ হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ফিল্টার আইসিইউতে স্থাপিত করায় সেখানে সেবা দেওয়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকি অনেক কমেছে।’
সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, ‘এটি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়ের সার্বিক সহযোগীতায় স্থাপিত হয়েছে। তার সঙ্গে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার মো. ইউনুছুর রহমান উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন। তবে মূল অর্থায়ন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম সিলেট মিররকে বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ আমাদের ফিল্টার দিয়েছেন। তবে এটি স্থাপন করতে প্রায় দশ থেকে বারো লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। যা সিটি করপোরেশন বহন করেছে।’
এনএইচ/বিএ-০৮