ওসমানীনগর প্রতিনিধি
জুন ২৩, ২০২০
০৭:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৩, ২০২০
০৭:৫৬ অপরাহ্ন
সিলেটের ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদ মোবারক কর্তৃক আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সভাপতিসহ বিএনপির সাবেক আহবায়ককে ‘রশি দিয়ে বেঁধে’ থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকির ঘটনায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
ওসির এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা প্রস্তাবটি আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহিত করার আহব্বান জানিয়েছেন কমিটির একাধিক সদস্য।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) ওসমানীনগর উপজেলার আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা উপজেলা ভবনের হল রুমে ইউএনও মোছা. তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় একাধিক জনপ্রতিনিধিসহ সদস্যরা জানান, সম্প্রতি থানার ওসি রাশেদ মোবারক উপজেলা আওয়ামী লীগ-যুবলীগের শীর্ষ নেতা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ককে ফোন করে ‘রশি দিয়ে বেঁধে’ আনার হুমকি প্রদান করেন। বিষয়টি জানাজানির পর উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনাসহ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা সচেতনমহলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা ওসির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনসহ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতির বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সভার সভাপতি ইউএনও মোছা. তাহমিনা আক্তারের প্রতি আহব্বান জানান।
সভায় এ ব্যাপারে রক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দাল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু, উমরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
তবে নিন্দা প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তারের ব্যবহৃত অফিসিয়াল মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার উমরপুর ইউপি আ.লীগের সভাপতি শহিদ পরিবারের সদস্য দবির মিয়া, উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল আহমদ এবং উমরপুর ইউনিয়নের সালিশি ব্যাক্তিত্ব সাবেক ইউপি সদস্য তখলিছ আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান চেরাগ আলীকে থানার অফিসিয়াল মুঠোফোন থেকে ওসি রাশেদ মোবারক ফোন দেন।
তিনি তাদের বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি আপনার এলাকায় একটি সংঘাত হবে আর যদি তা হয় তাহলে আপনাকে প্রধান আসামি করে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে হিচড়ে থানায় নিয়ে আসব’। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর ওসির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পরবর্তীতে এ বিষয়ে গত শনিবার বিকালে ভূক্তভোগীরাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দরা ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রতিবেদন পাঠানোর আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ইউডি/বিএ-০৯