গোয়াইনঘাটে সাংবাদিক পরিচয়ে এক পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ২৫, ২০২০
১০:৩৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ২৫, ২০২০
১২:৪৩ অপরাহ্ন



গোয়াইনঘাটে সাংবাদিক পরিচয়ে এক পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

গোয়াইনঘাটে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কতিপয় লোক একটি পরিবারকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাংবাদিক নামধারী ওই চক্রের অপপ্রচার ও অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে পরিবরাটি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর ৪র্থ খন্ড গ্রামের আনসার আহমদ।

লিখিত বক্তব্যে আনসার আহমদ বলেন, ইসলাম আলী নামের এক ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কতিপয় অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে হয়রানির উদ্দেশ্যে থানায় এজাহারসহ সাধারণ ডায়েরি করছে। এতে আমি ও  আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তহীনতায় রয়েছি।

তিনি বলেন, ইসলাম আলী ও নিজাম উদ্দিন টিপু নামের দুই ভাইসহ তাদের সহযোগীরা একই গ্রামের বাসিন্দা হলেও পাড়া দুটি। তারা আমাদের মৌরসী সম্পত্তি দখল করতে না পেরে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এই দুই ভাইয়ের যন্ত্রনায় কেবল আমরা নয়, পুরো গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় চোরাচালান, মাদক ব্যবসা থেকে অনেক অপকর্মে জড়িত রয়েছে ইসলাম আলী ও টিপু।

আনসার আহমদ আরও বলেন, ৪র্থ খন্ড মৌজার ৬০৫ ও ৬০৬ নম্বর দাগ আমাদের মৌরসি সম্পত্তি। এলাকাবাসীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমাদের জমির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা করে দেই। তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল হাসান এই রাস্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাস্তাটি আমাদের মৌরসি সম্পত্তি ও ব্যক্তিগত রাস্তা বলে ভোগ দখল করে আসছি। কাগজেপত্রেও তা রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কাউকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাধা নিষেধ করিনি। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নিজের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নেওয়ার সুযোগ করে দিয়ে নতুন করে চাদাঁবাজ চক্রের টার্গেট হয়েছি আমরা। উল্লেখিত ৬০৫ নম্বর দাগের রাস্তার পশ্চিম ও উত্তরপ্রান্তে ঐ দাগের অবশিষ্ট ভুমির দিকে নজর পড়েছে ইসলাম আলী ও তার সহযোগী ভূমিখেকোদের। তারা জোরপূর্বক ঐ ভুমি দখল করবে বলে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। বাড়ির টয়লেটের ময়লা আবর্জনা রাস্তায় ফেলে দিয়ে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার সালিশ ব্যক্তিরা বসে একাধিকবার ইসলাম আলী ও তার সহযোগীদের ডাকলেও ওই চক্র তাতে সাড়া দেয়নি।

আনসার আহমদ বলেন, ইসলাম আলীও তার সহযোগীরা সিলেট শহর থেকে কিছু নামধারী সাংবাদিকদের তাদের বাড়িত নিয়ে যায়। তারা সেখানে গিয়ে ফেইসবুকে লাইভে গিয়ে আমরা নাকি ইসলাম আলীকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করছি এমন তথ্য তুলে ধরে। এমনকি ইসলাম আলী নিজে ফেইসবুক লাইভে এসে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে। ইসলাম আলীও তার সহযোগীরা পুলিশ সুপার বরাবরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দাখিল করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা এই চক্রের বিরুদ্ধে একাধিকবার থানায় অভিযোগ দাখিল করেছি। কিন্তু ইসলাম আলী সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানাভাবে প্রভাবিত করে আমাদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এই চক্রের হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে আনসার আহমদ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বদর উদ্দিন বদরুল ও জুবের আহমদ।

তবে সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন মো. ইসলাম আলী ও নিজাম উদ্দিন টিপু।

 

আরসি-০১