নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৬, ২০২০
১১:০৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ২৬, ২০২০
১১:২৪ পূর্বাহ্ন
এখনও সপ্তাহ পেরোয়নি। এরই মধ্যে ভেঙে পড়েছে রাস্তার মাঝখানে বসানো নগরের খুঁটিবিহীন প্রকল্পের দুটি বিদ্যুতের খুঁটি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দিবাগত রাতে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকার দুটি জায়গায় এ ঘটনা ঘটেছে। এটি দিনের বেলা ঘটলে বড় ধরণের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারত বলে শঙ্ক নগরবাসীর।
আজ শুক্রবার (২৬ জুন) সকালে জিন্দাবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে লতিফ সেন্টার এবং কাজি ইলিয়াস রোডের পাশের সড়কে খুঁটি দুটি পড়ে রয়েছে। নিম্নমানে খুঁটি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা আর নিম্নমানের কাজের জন্য এমনটি ঘটেছে বলে দাবি সচেতন মহলের। তবে মানের জন্য নয়, মালবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় খুটি গুলো ভেঙ্গে পড়েছে বলে দাবী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা যত্ন নিয়ে কাজ করেনি। নিম্নমানের কাজ করায় এটি ভেঙ্গে পড়েছে।’
রাস্তার মাঝখানে বসানো অন্য খুঁটিগুলোর মান যাচাই করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সড়কে আরও খুঁটি লাগানো হয়েছে। এগুলোর মানও যাচাই করা প্রয়োজন। সিটি করপোরেশনের এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।’
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুত) রুহুল আলম বলেন, ‘এই কাজের সম্পূর্ণ দায়িত্ব পিডিবির। আমরা শুধু জায়গা দেখিয়ে দিয়েছি, বাকিসব কাজ পিডিবিই করছে।’
ট্রাকের ধাক্কায় এই খুঁটি ভেঙেছে দাবী করেছেন বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক জিয়াউল হাসান। তিনি সিলেট মিররকে বলেন, 'গত রাতে একটি ট্রাক ধাক্কা দেওয়ায় খুঁটি দুইটি ভেঙে যায়। তবে ট্রাকটিকে আটক করা যায়নি। সাপ্তাহিক ছুটি শেষে অফিস খোলার পর আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেব।'
খুঁটি নিম্নমানের ছিল কী না এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'একই খুঁটি শুধু সিলেট জেলায় নয় সারা বিভাগে বসানো হয়েছে। নিম্নমানের হলে অন্যান্য জায়গায়ও ভেঙে পড়ত। এছাড়া এই খুঁটিগুলো অনেক পরীক্ষা করে আনা হয়।'
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশনকে বিষয়টি অবহিত করেছি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে রোড ডিভাইডারের কাজ শেষ করেন সেজন্য অনুরোধ করেছি। তাহলে আর ট্রাক এভাবে ধাক্কা দিতে পারবে না। '
প্রসঙ্গত, মাটির নিচে বিদ্যুতের সংযোগের বিকল্প সংযোগ হিসেবে এই খুঁটিগুলো বসানো হয়েছিল।
এনএইচ/বিএ-১৩