সিলেটে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন ১২০ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ২৬, ২০২০
০১:২৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২৬, ২০২০
০১:২৮ অপরাহ্ন



সিলেটে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন ১২০ জন

সিলেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। প্রথম দিকে ধীর গতিতে হলেও বিগত কিছুদিন ধরে তা বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ দিনে সিলেট বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১২০ জন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এটা সিলেটের করোনার প্রকৃত চিত্র নয় বলে মনে করছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। ব্যাপকভাবে নমুনা পরীক্ষা করলে প্রকৃত চিত্র বুঝা যাবে বলে মনে করেন তারা।   

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকাল পর্যন্ত সিলেটে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৭৬৩। আর গত ১১ জুন সকালে এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৬৪। বিগত ১৫ দিনে সিলেট বিভাগে রোগী বেড়েছে এক হাজার ৭৯৯ জন। প্রতিদিন গড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন ১২০ জন। 

গত ৫ এপ্রিল সিলেট বিভাগে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। প্রথমে এই শনাক্তের সংখ্যা ধীর গতিতে বাড়তে থাকলেও এখন তা লাফিয়ে বাড়ছে। গত ১৫ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই ভাইরাসে সিলেট বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের। গত ১১ জুন এই সংখ্যা ছিল ৪১। এর মধ্যে গত ১৫ জুন একদিনে সিলেট জেলার ৬ জনের মৃত্যুর খবর আসে। যা বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ। 

এদিকে, সিলেটের নাগরিক সমাজ মনে করছেন এটা সিলেটের প্রকৃত চিত্র নয়। অনেক মানুষ উপসর্গ নিয়ে ঘুরছেন কিন্তু পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না। কিটের অভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে না নমুনা। যার কারণে সিলেটে আক্রান্তের আসল চিত্র বুঝা যাচ্ছে না।

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম সিলেট মিররকে বলেন, ‘সিলেটে বর্তমানে করোনা শনাক্তের যে চিত্র আমাদের সামনে আছে তা প্রকৃত নয়। কারণ সিলেটে খুব অল্প পরীক্ষা করা হচ্ছে। সারাদেশে করোনা শনাক্তকরণ কিটের অভাব আছে। সিলেটেও একই অবস্থা। এছাড়া সিলেটে পরীক্ষা করার ল্যাব আছে মাত্র দুইটি। এগুলোতে প্রতিদিন যে পরিমাণ পরীক্ষা করা হয় তা অপ্রতুল। সিলেটে আরও পিসিআর মেশিন বসাতে হবে। শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল, কিন্তু সেখানে শুধু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেখানেও পিসিআর মেশিন স্থাপন করা যায়। এছাড়া দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন যক্ষা শনাক্তকরণ যে মেশিনে আছে তা দিয়ে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা সম্ভব। সিলেটে এরকম কয়েকটা মেশিন রয়েছে। এগুলোকে কাজে লাগানো যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত চিত্রের কাছাকাছি যেতে হলে পর্যাপ্ত কিটের ব্যবস্থা, আরও অনেকগুলো পিসিআর মেশিন স্থাপন করতে হবে। পরীক্ষার সংখ্যা অনেকগুণ বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া কম পরীক্ষায়ও সিলেটে যত সংখ্যাগ রোগী শনাক্ত হয়েছেন তা উদ্বেগজনক। অবিলম্বে লকডাউনের মাধ্যমে মানুষকে ঘরে রাখতে হবে।’

সিলেটে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কমিটির চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, ‘সিলেটে কিটের তীব্র সঙ্কট রয়েছে। বর্তমানে প্রায় এক হাজার কিট রয়েছে। এটা দিয়ে মাত্র পাঁচ দিন পরীক্ষা করা যাবে।’

এনএইচ/এনপি-০৩