বিশ্বনাথে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে 'অপপ্রচারের' প্রতিবাদ

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি


জুন ২৮, ২০২০
০২:৫৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২৮, ২০২০
০২:৫৭ অপরাহ্ন



বিশ্বনাথে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে 'অপপ্রচারের' প্রতিবাদ

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলীসহ পরিষদের সদস্য-সদস্যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগপত্র দাখিল ও সংবাদ পরিবেশনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ এনে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

আজ রবিবার (২৮ জুন) সকালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে পরিষদের সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত 'মিথ্যা' অভিযোগপত্রগুলোর সত্যতা তুলে ধরেন। এ সময় তারা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে 'অপপ্রচারের' ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, 'পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রে অবৈধভাবে ইউপি সদস্য শাহীন আহমদকে উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তার মাধ্যমে চেয়ারম্যান দুর্নীতি করছেন'- এমন অভিযোগ এনে সম্প্রতি ইউনিয়নের মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের আবারক আলীর পুত্র আবদুল খালিক জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে অনেক গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়। কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে শাহীন আহমদ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার প্রায় ৪ বছর পূর্বে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক। তখন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস আলী। উদ্যোক্তাদের সরকারি কোনো বেতনও নেই। আর শাহীন আহমদ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউনিয়নের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তার পদ থেকে লিখিতভাবে অব্যাহতি গ্রহণ করেন। উদ্যোক্তা হিসেবে শাহীন আহমদের নিয়োগের সঙ্গে পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলীর কোনো ভূমিকা নেই এবং যেখানে উদ্যোক্তাদের সরকারি বেতন নেই, সেখানে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর শাহীন আহমদ মেম্বার কিভাবে সরকারি বেতন উত্তোলন করবেন? এ থেকেই প্রমাণিত হয় কোনোদিন পরিষদে না আসা আবদুল খালিকের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধুমাত্র চেয়ারম্যানসহ পরিষদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার উদ্দেশে এসব মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। এর পূর্বেও আবদুল খালিকের চাচা আবদুল মুতলিব একাধিকবার সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পরও সদ্য প্রয়াত পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ছুরাব আলী (মেম্বার) ও চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য রেকর্ড করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে পরিষদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলীসহ সদস্য-সদস্যাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্শ্বান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পরিষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে ব্যস্ত রয়েছে। ওই কুচক্রী মহল পরিষদের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করতে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ এনে দায়ের করছে অভিযোগপত্র। আর কোনো ধরণের যাচাই-বাছাই বা তদন্ত ছাড়াই এসব অভিযোগপত্রের আলোকে কয়েকটি অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ দুঃখজনক। পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও পরিষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের মুখোশ জনসম্মুখে উন্মোচনের জন্য সাংবাকিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী, পরিষদের সচিব সুকান্ত দেব নাথ, সদস্য আবদুল মজিদ, ওয়াহাব আলী, গোলাম হোসেন, ইরন মিয়া, নূর উদ্দিন, আমির আলী, শাহীন আহমদ তালুকদার, আনোয়ার হোসেন, সদস্যা শাহানার বেগম, রেসনা বেগম, সমতা বেগম প্রমুখ।

 

এমএ/আরআর-১০