শাবি প্রতিনিধি
জুন ২৯, ২০২০
০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ২৯, ২০২০
০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহির চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ মামলাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা এবং ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়েছেন ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (২৯ জুন) দুপুরে ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের পক্ষে শেখ দেলোয়ার হোসেন, নূরাইয়া মাহবুব, মো. শাহরিয়ার, মো. শিহাব ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নি, নাঈম সরকার, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মোস্তাক আহমদ, আবু সালেহ মো. নাসিম, শাফায়েত আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও মাইনুল ইসলাম রাশুর যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, করোনার এই দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে শাবিপ্রবি প্রশাসন একের পর এক প্রশ্নবিদ্ধ কাজের মাধ্যমে নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মাহির চৌধুরীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়েছে প্রশাসন। যার প্রেক্ষাপট ছিলে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে 'কটুক্তি করে স্ট্যাটাস' দেওয়ার অভিযোগ।
তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও চাপের মুখে ইতোমধ্যে শাবিপ্রবি প্রশাসন মাহিরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছে। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। একই সঙ্গে বিগত দিনে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদ অলঙ্কৃত করা কর্তাব্যক্তিদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের জন্য তাঁদের জবাবদিহিতা সময়ের দাবি ববে মনে করছি আমরা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মাহিরের মামলাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ, রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রহসনমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের এরূপ দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা আমাদের হতাশ করেছে। তাদের এসব কাজের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই ৪টি পদে দায়িত্ববান ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তায় আমরা বার বার হতাশ হয়েছি। তাদেরসহ সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে দিন দিন জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে উঠে যাচ্ছে তাও শিক্ষার্থীদের জন্য শঙ্কার বলে মনে করছি আমরা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছি। এ থেকে নিষ্পত্তি পেতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা ২০১৭-১৮ সেশন আমাদের পূর্ববর্তী সেশনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে প্রশাসনের নিকট অনুরূপ দাবিগুলোই উত্থাপন করছি।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাহিরের মামলা প্রত্যাহারের আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়কে কর্তৃপক্ষকে মাহির ও তার পরিবারের নিকট ক্ষমা চাইতে হবে, কী কারণে মামলা করা হলো এবং শেষে এসে কেনই বা তা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হলো তার আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে পরিষ্কার করতে হবে, ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষার্থীকে হয়রানি না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের নিজ নিজ কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
এইচএন/আরআর-০১