গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি
জুন ২৯, ২০২০
০২:৫৮ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৯, ২০২০
০২:৫৮ অপরাহ্ন
এক শিশুকে মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছেন গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. নাজমুস সাকিব।
মহামারি করোনাভাইরাসে এখন আতঙ্কিত সারা বিশ্ব। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। সাধারণ মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সেই নির্দেশ মেনে সাধারণ মানুষ মুখে মাস্ক, কেউ কেউ হাতে হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করলেও দরিদ্র পরিবারের শিশুরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তাই শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিলেটের গোয়াইনঘাটে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুস সাকিব। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গোয়াইনঘাট উপজেলায় শিশুদের মাঝে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মাস্ক বিতরণ করেছেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করায় গোয়াইনঘাট উপজেলার সিংহভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন। তবে প্রাপ্তবয়স্করা মুখে মাস্ক পরিধান করলেও শিশুদের মুখে মাস্ক পরিধান তেমনটি চোখে পড়েনি।
করোনাভাইরাসের মহামারির এই সময়ে শিশুদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি চোখে পড়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুস সাকিবের। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৩ হাজার শিশুর সুরক্ষার জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে মাস্ক বিতরণ করেন। একই সঙ্গে সরকারিভাবে দুধ ক্রয় করে তা শিশুদের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন তিনি। শিশুদের মাঝে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রমটি গোয়াইনঘাট উপজেলার সর্বত্রই আজ প্রশংসিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুস সাকিব বলেন, সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়নে আমাদের উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ে চষে বেড়াতে হয়। মাঠ পর্যায়ে কাজের ফাঁকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শিশুদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার নেই বললেই চলে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আমার পক্ষ থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩ হাজার শিশুর জন্য মাস্কের ব্যবস্থা করেছি। ইতোমধ্যে শিশুদের মাঝে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
বাজারের মাস্ক শিশুবান্ধব নয় বলে গ্রামাঞ্চলে শিশুরা মাস্ক ব্যবহার করে না- এমন অভিজ্ঞতাভিত্তিক উপলব্ধি থেকে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস বলে জানিয়েছেন ইউএনও মো. নাজমুস সাকিব।
এমএম/আরআর-১৪