বিশ্বনাথে নারীর আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা

আসমা শিকদার সীমলা


জুলাই ০৯, ২০২০
০৩:৪৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৯, ২০২০
০৩:৪৪ অপরাহ্ন



বিশ্বনাথে নারীর আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা

সিলেটের বিশ্বনাথের দৌলতপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অফিস সহকারী আসমা শিকদার সীমলার (৪০) আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) আসমার স্বামী ফজলু মিয়া বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার আইনে বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

বিদ্যালয়ের নবগঠিত গভর্নিং বডির সভাপতি দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফকে (৬৫) প্রধান আসামি করে আরও দুইজনের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আটক গভর্নিং বডির সদস্য ও দৌলতপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়া (৪৬) ও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হাসিম (৬০)। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে আরও ৭ জনকে।

আটক আনোয়ার মিয়াকে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে গতকাল বুধবার (৮ জুলাই) বিকেলে বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রউফের বাড়ি থেকে আনোয়ার মিয়াকে আটক করেছিল পুলিশ।

মামলা দায়েরের সত্যতা জানিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, 'এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। মামলায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতাও অব্যাহত আছে। আটক আনোয়ার মিয়াকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।'

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৬ জুলাই) বিকেলে নিজ বাসায় হারপিক খাওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন আসমা বেগম সীমলা। তখন তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। এর দুইদিন পর গতকাল বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আসমা বেগম সীমলা উপজেলার দৌলতপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অফিস সহকারী এবং একই ইউনিয়নের বাহাড়াদুবাগ গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী।

ফজলু মিয়ার অভিযোগ, আইনিভাবে অফিস সহকারীর কাছে বিদ্যালয়ের হিসেব চাওয়া যুক্তিসঙ্গত না হলেও বার বার বিদ্যালয়ের হিসেব চান এবং চাপ প্রয়োগ করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কমিটির নেতৃবৃন্দ। এমন চাপের কারণে ও অপমানের ভার সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন সীমলা।

 

এমএ/আরআর-১৪