নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ০৯, ২০২০
১০:১৯ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১০, ২০২০
১২:৪৫ অপরাহ্ন
অসংখ্য পাঠক আর শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় স্নাত দৈনিক সিলেট মিরর আজ শুক্রবার তৃতীয় বছরে পা রেখেছে। ২০১৮ সালের ১০ জুলাই এ পত্রিকাটির আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। এরপর থেকেই সত্য, সুন্দর, বস্তুনিষ্ঠতা আর রুচির পথে নিরন্তর পথ চলেছে সিলেট মিরর। ফলে অল্প সময়েই পাঠকের ভালোবাসায় পত্রিকাটি একটি মানসম্পন্ন, গ্রহণযোগ্য, দল নিরপেক্ষ, জনবান্ধব ও পাঠকপ্রিয় পত্রিকার মর্যাদা পেয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অন্যান্য ছাপা কাগজের মতো ‘সিলেট মিরর’ও নানা সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপর সিলেটের অন্যান্য দৈনিকের মতো বেশ কিছুদিন সিলেট মিরর-এর ছাপা সংস্করণের মুদ্রণ বন্ধ ছিল। তবে ওই সময়টাতে সিলেট মিরর অনলাইন মাধ্যমে পাঠকের কাছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিয়মিত পরিবেশন করে গেছে। এখন ছাপা সংস্করণের পাশাপাশি সিলেট মিরর-এর অনলাইন সংস্করণের প্রকাশনাও চলমান রয়েছে।
আজ ১০ জুলাই সিলেট মিরর-এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাপা সংস্করণে মূল পত্রিকার পাশাপাশি একটি বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক হারুন হাবীব, বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ও কবি ড. আমিনুর রহমান সুলতান, গবেষক দীপংকর মোহান্ত, লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কবি ড. মোস্তাক আহমাদ দীন, লোকসংস্কৃতি গবেষক সুমনকুমার দাশ এবং বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা কবি পিয়াস মজিদ প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও স্মৃতিগদ্য লিখেছেন। কবিতা লিখেছেন আকমল হোসেন নিপু, মুহম্মদ ইমদাদ, মনজুর মোহাম্মদ ও স্নিগ্ধা বাউল। গল্প লিখেছেন সাদিয়া সুলতানা।
সিলেট মিরর-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পত্রিকার সম্পাদক আহমদ নূর এক বিশেষ সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, সিলেট মিরর-এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমরা বেশ সাড়ম্বরেই পালন করেছিলাম। সিলেট থেকে একটি মানসম্পন্ন ও সমৃদ্ধ ঈদ সংখ্যা, শারদীয় সংখ্যা প্রকাশ, গুণীজনদের সম্মাননা প্রদানসহ বেশ কিছু সামাজিক উদ্যোগও আমরা নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনার ছোবলে এসব উদ্যোগ হোচট খেয়েছে। দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘটা করে উদযাপনের আকাক্সক্ষা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটি করাও সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমরা আশায় বুক বাঁধি কোনো একদিন আমরা আবার আগের মতো আমাদের বর্ষপূর্তির মুহুর্ত বর্ণিল উচ্ছাসে উদযাপন করব। আমরা বিশ্বাস করি, এই দাহকাল কাটবেই। আবার সবকিছু জেগে উঠবে আগের মতো। মানুষ নিজের মতো নতুন করে আবার সাজাবে পৃথিবী। কারণ বিশ্বটা তো মানুষের জন্যই।’
সম্পাদক আহমেদ নূর বিশেষ সম্পাদকীয়তে আরও লিখেছেন, ‘প্রিয় পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী, আপনাদের অকৃত্রিম সৌহার্দ্য আমাদের দায়বোধ বাড়িয়ে দেয়। আমরা জানি, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন আমরা তা অতিক্রম করতে পারব। সে আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। কারণ একটাই-আমাদের অগ্রযাত্রায় আপনারাই সবচেয়ে বড় সঙ্গী। তাই আমরা বিশ্বাস করি অন্ধকার যত গাঢ়ই হোক, আলোর মশাল আমরা জ্বালবই।’ সম্পাদক সিলেট মিরর-এর পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট ও হকারসহ শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক অভিবাদন জানিয়ে বলেন, ‘অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন, এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। পাশাপাশি পাঠকের রুচি ও মননকে ধারণ করে পথ চলব, এ প্রতিশ্রুতি আমরা দিচ্ছি।’
এস/এএফ