দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কল্যানে সরকার আন্তরিক

ছাতক প্রতিনিধি


জুলাই ১৫, ২০২০
০২:৫৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৫, ২০২০
০২:৫৫ পূর্বাহ্ন



দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কল্যানে সরকার আন্তরিক
ছাতকে বিভাগীয় কমিশনার

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান বলেছেন, বন্যা দূর্গত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি ত্রাণের ব্যবস্থা রয়েছে। বানবাসি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কল্যানে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে ছাতক উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোভিড-১৯ ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ত্রান বিতরণে নিয়োজিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, একই ব্যক্তি যাতে সরকারি সব সুবিধা ভোগ না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রেখে ত্রান বিতরণ করতে হবে। আসন্ন কোরবানীর ঈদে পশুর হাটে বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য হাটের ইজারাদারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য পৃথক রাস্তা রাখতে হবে। হাটে প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ তাপমাত্রা নির্ধারনের যন্ত্র রাখতে হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে পশুর হাটে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে ভিড় কমাতে হাটের সংখ্যা বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহারে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে। প্রয়োজনে মেবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল জরিমানার আওতায় এনে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গরীব অসহায়দের বিনামুল্যে মাস্ক বিতরণের পরামর্শও দেন তিনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শুধু মাস্ক ব্যবহার শতভাগে উন্নীত হলে করোনা ভাইরাস সংক্রমন ৯০ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

এসময় তিনি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ছাতক উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত স্বেচ্ছাসেবক টিমসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ছাতক এবং দোয়ারাবাজার দুই উপজেলার সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) দ্বায়িত্ব পালনকারীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

 এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন কার্যক্রম এবং বন্যাকবলিত মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত ও ত্রান বিতরণ কার্যক্রম সচিত্র তুলে ধরেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, সিনিয়র এএসপি, ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম। 

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আবুল মনসুর মিয়া, সাব রেজিস্ট্রার আব্দুল করিম ধলা মিয়া, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুমন আচার্য্য, ছাতক টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার পন্ডিত, পৌরসভার সচিব আবুজর গিফারী, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায়, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাস, সমবায় কর্মকর্তা মতিউল ইসলাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাতক আঞ্চলিক শাখার উপপরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ জামান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কেএম মাহবুবুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ মশিউর রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র দে, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মাসুদ সরকার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাহাব উদ্দিন, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শফিকুর রহমান, নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়েজুর রহমান, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা আহসান হাবিব, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার সুয়েব আহমদ, আমার বাড়ী আমার খামারের প্রকল্প কর্মকর্তা জুলকার নাইন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (বিত্তহীন) প্রণব লাল রায়, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হেকিম, পৌর কাউন্সিলর ধন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

পরে বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান ছাতকের ফকিরটিলা বেদেপল্লী পানিবন্দী ১০০ পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল ও ইসলামপুর ইউনিয়নের রাবার ড্যাম বাজারে ২৫০ জন পানিবন্দীদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরন করেন। 

পরে তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের মন্তাজনগরে পানিবন্দি ৩৫০ পরিবারের মধ্যেও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। 

এসময় দোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রহিম, নরসিংপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর উদ্দিনসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/বিএ-০২