বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
জুলাই ২৩, ২০২০
০২:১৪ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২৩, ২০২০
০২:১৪ অপরাহ্ন
সাড়ে তিন বছর ধরে নিজ বাড়িতে ভীষণ যত্ন করে ষাঁড়টিকে বড় করা হয়েছে। কোনো ধরণের ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে তাকে লালন-পালন করেছেন সিলেটের বালাগঞ্জ ইউনিয়নের চরসুবিয়া গ্রামের আব্দুল মালিক। শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় শখ করে ষাঁড়টির নাম রাখা হয় ‘মহারাজ’।
আব্দুল মালিক জানালেন, সাড়ে তিন বছর আগে মাসহ সিন্ধি জাতের মহারাজকে ১ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছিলেন তিনি। তখন মহারাজের বয়স ছিল এক বছরের কিছু বেশি। সাড়ে তিন বছর পর মহারাজ এখন পরিণত ষাঁড়। তাই তাকে এবার কোরবানির ঈদে হাটে তুলতে চান আব্দুল মালিক। হাটে তোলার আগেই ষাঁড়টির দাম ঠিক করে রেখেছেন তিনি। ৫ লাখ টাকার নিচে তার প্রিয় পশুটিকে বিক্রির কোনো ইচ্ছা নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহারাজের যত্ন-আত্তিতে ব্যস্ত আব্দুল মালিক। আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য ষাঁড়টিকে প্রস্তুত করে তুলছেন তিনি।
আব্দুল মালিক জানান, সাড়ে ৪ বছর বয়সী লাল রঙের এই মহারাজের ওজন প্রায় ১৫ মন। উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট এবং লম্বায় প্রায় সাড়ে ৭ ফুট। কোনো প্রকার ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক খাটনি দিতে হচ্ছে তার পেছনে। মহারাজকে লালন-পালনে এ পর্যন্ত তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। গত কোরবানির ঈদে ষাঁড়টি কিনতে যারা এসেছিলেন তারা ৩ লাখ টাকা দাম বলেছিলেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করা হয়নি। এবছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকায় তিনি বেশি দাম চাইছেন না। এবার তার চাহিদা ৫ লাখ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, এই মহারাজ উপজেলায় পালন করা সবচেয়ে বড় ষাঁড়।
আব্দুল মালিক আরও জানান, আগ্রহী ক্রেতারা তার মোবাইল নম্বরে (০১৭১০-২১১৩০৪/০১৭১৪-৪৮৫৯২৮) যোগাযোগ করতে পারবেন।
এসএ/আরআর-১৩