বড়লেখায় চুরিকৃত কম্পিউটার ও মুঠোফোন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫

বড়লেখা প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
০৬:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
০৬:৪৫ অপরাহ্ন



বড়লেখায় চুরিকৃত কম্পিউটার ও মুঠোফোন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫

রাতের আঁধারে একটি দোকানের তালা ভেঙে একটি কম্পিউটার, ৫টি মুঠোফোন ও নগদ কিছু টাকা নিয়ে গিয়েছিল চোরেরা। এ চুরির ঘটনায় দোকান মালিক দ্বারস্থ হন পুলিশের। দোকান মালিকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই চোরদের গ্রেপ্তারে নামে পুলিশ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে এক চোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর একে একে আরও ৪ চোর ধরা পড়ে পুলিশের জালে। তাদের দেওয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয়েছে কম্পিউটার ও ৫টি মুঠোফোন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের তালিমপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে হালিমুর রশীদ হালিম (২০), বড়লেখা সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল গ্রামের শফিক উদ্দিনের ছেলে জহির আহমদ (২১), একই এলাকার আব্দুল খালিকের ছেলে সুজন আহমদ (২২), জফরপুর গ্রামের মৃত মনির আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০) ও নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের চান্দগ্রামের মৃত মখদ্দছ আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২)।

পুলিশ ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের মার্কেটের ব্যবসায়ী আশীষ চন্দ্র নাথের অন্নপূর্ণা এন্ড আঁখি ফটোস্ট্যাট ও কম্পিউটারের দোকানে হানা দেয় চোরেরা। তারা দোকানের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশে করে একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫টি মুঠোফোন ও ক্যাশ বাক্স ভেঙে নগদ  ৪ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে যায়। পরদিন মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে স্থানীয়রা দোকান মালিক আশীষ চন্দ্র নাথকে জানান, তার দোকানের শাটার খোলা। পরে তিনি দোকানে এসে দেখেন তার দোকানের তালা ভাঙা ও শাটার খোলা। ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন দোকানের একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫টি মুঠোফোন ও ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ টাকা ৪ হাজার ৮০০ টাকা নেই।

এ ঘটনায় তিনি ওইদিনই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাটি তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস ও সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুরির সঙ্গে জড়িত হালিমুর রশীদ হালিমকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে জহির আহমদ, সুজন আহমদ ও শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে চুরি হওয়া কম্পিউটার ও মুঠোফোন চান্দগ্রাম বাজারের আরিয়ান টেলিকম থেকে উদ্ধার এবং ওই দোকানের মালিক সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দোকান মালিকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে হালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার চুরির কথা স্বীকার করে হালিমুর রশীদ হালিম ও জহির আহমদ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।

 

এজে/আরআর-০১