কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
০৯:০৬ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
০৯:০৬ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পুনঃগঠিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিবসহ ১৪ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। স্বেচ্ছাচারিতা, ধানের শীষের বিরোধীতাকারীদের কমিটিতে স্থান দেওয়া, অগণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভুত আচরণসহ নানা অভিযোগ তোলে গত বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি বরাবরে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তারা।
বিএনপির লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। আহ্বায়ক কমিটি উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে। গত ২০ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমানের বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজিবুর রাহমান চৌধুরী, জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়জুল করিম ময়ুন, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে পুনরায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ মুকিতকে আহ্বায়ক, গোলাম কিবরিয়া শফিকে যুগ্ম-আহ্বায়ক ও অলি আহমদ খানকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে কমিটি ঘোষণার দুইদিন পরই অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারিতা, ধানের শীষের বিরোধীতাকারী এবং আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর অধিকাংশ ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পাওয়ার অভিযোগ তুলে পদত্যাগপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
পুনঃগঠিত কমিটির পদত্যাগকৃত সদস্য মো. আবুল হোসেন পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'কুরিয়ার সার্ভিসযোগে ২৩ সেপ্টেম্বর পদত্যাগপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
পদত্যাগকারী ১৪ জন হলেন- কমিটির সদস্য সচিব অলি আহমদ খান, সদস্য মো. দুরুদ আহমদ, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. আবুল হোসেন, তোয়াবুর রহমান, আহমেদুর রহমান খোকন, আব্দুল মন্নান, লক্ষ্মী মোহন সিংহ, সফিকুল ইসলাম সুফি, মো. আব্দুল মন্নাফ, চান মিয়া, নজরুল ইসলাম মনির, সবুজ রহমান ও বীরবল।
কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া শফি জানান, জেলা কমিটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছে। কয়েকজন ছাড়া কারোরই রাজনৈতিক পরিচয় নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পদত্যাগকারীদের অনেকেই দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। তাই তাদের পদত্যাগে ব্যক্তিগত স্বার্থ ছাড়া দলে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে আহ্বায়ক কমিটি পুনঃগঠন করে দেওয়া হয়েছে। কারও একক ইচ্ছাধীন মানুষকে সকল পদ দেওয়া সম্ভব নয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই পদত্যাগ দলে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কমিটির আরও ১৭ জন সদস্য আছেন। তারা নতুন নাম প্রস্তাব করলে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এসডি/আরআর-০৪
