মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
অক্টোবর ০৬, ২০২০
০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৬, ২০২০
০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে ছিটকে পড়ে তোয়াকুল মিয়া (৫৮) নামের এক ব্যবসায়ীর শরীর থেকে একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত তোয়াকুল মিয়া মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকাতেই মুদি ও স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসা করেন তিনি। তিনি শমশেরনগর বণিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সদস্য।
শমশেরনগর বণিক কল্যাণ সমিতি সূত্রে জানা যায়, তোয়াকুল মিয়া ব্যবসায়িক কাজে সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে আন্তনগর পারাবত ট্রেনে সিলেট যাচ্ছিলেন। কুলাউড়া স্টেশনে যাত্রাবিরতির সময় তোয়াকুল মিয়া ট্রেন থেকে নেমে পানের দোকানে গিয়ে পান কেনেন। এ সময় পারাবত ট্রেন ছেড়ে দিলে তিনি দৌড়ে আবার ট্রেনের বগিতে উঠতে গিয়ে ছিটকে ট্রেনের নিচে পড়ে যান। এ সময় ট্রেনের চাকায় পড়ে তাঁর বাম হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বাম পায়ের উরুতে বড় ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তিনি মাথায়ও আঘাত পান। ট্রেনটি স্টেশন ত্যাগের পর স্টেশনমাস্টারসহ আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় তোয়াকুলের বাম হাত ও পা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রæত সিলেটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’
কুলাউড়ার স্টেশনমাস্টার মুহিব উদ্দিন আহমদ জানান, চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। চলন্ত ট্রেনে এভাবে না উঠতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে রেলওয়ের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপরও কিছু যাত্রী এ কাজটি করে থাকেন। এ ব্যাপারে যাত্রীদের সচেতন হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কামাল হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে তারা যাত্রীদের সচেতন করে থাকেন। কিন্তু কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন ভ্রমণ করতে গিয়ে এভাবে দুর্ঘটনায় পড়েন।’
সোমবার বিকেলে আহত ব্যবসায়ী তোয়াকুল মিয়ার ছেলে শাহ আলম বলেন, ‘ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাবার অস্ত্রোপচার হচ্ছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত নন।’
বিএ-০৬