গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৬, ২০২০
১১:৪৪ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০২০
১১:৪৪ অপরাহ্ন
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভূর মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে ইসকন। আজ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ৩টায় গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন মন্দিরের সদ্যপ্রয়াত সেবায়েত শ্রী রাধাবিনোধ মিশ্রের সহধর্মিণী প্রকৃত মিশ্র চক্রবর্তী।
সংবাদ সম্মেলন তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জয় মহাপ্রভূ সেবক সংঘের কেন্দ্রীয় পরিষদের অর্থ সম্পাদক মনোরঞ্জন সাহা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য দেবের বংশের সর্বশেষ পুরুষ শ্রী রাধাবিনোধ মিশ্র চতুর্থদশের উত্তরাধিকারী। তিনি দীর্ঘদিন নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্বপালন করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর তিনি পরোলোকগমনের পর থেকে ইসকন মহাপ্রভূর মন্দিরে উৎপাত শুরু করেছে। ইসকনের লোকজন পূজা-কীর্তনের অজুহাতে সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা এমনকি রাতের বিভিন্ন সময়ে এসে উপস্থিত হয়। কোনোদিন ২০/৩০ জন, আবার কোনোদিন ২০০/৩০০ জন লোক নিয়ে উপস্থিত হয় তারা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাধা বিনোধ মিশ্রের পরোলোকগমনের ৪০ দিন পূর্তির অনুষ্ঠানে কীর্তন চলছিল। ওইসময় ইসকন হাজার হাজার লোক নিয়ে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে লীলাকীর্তন প্রসাদ খাওয়াসহ বিভিন্ন হৈ-হুল্লোর শুরু করে। শুক্রবার মন্দিরের কোনো অনুমতি না নিয়েই ইসকন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তারা পুরুষোত্তম নাম উদযাপন করতে এসেছে বলে অনুষ্ঠানের লিফলেট বিতরণ করে। ইসকনের এ ধরণের প্রবণতা ভয়ঙ্কর এবং তাদের এ ধরণের কর্মকাণ্ডে আমরা শঙ্কিত। ইসকন শুধু যে জোর জবরদস্তি করছে তা-ই নয়, বেআইনিভাবে এসে মন্দিরে আশ্রয় নিচ্ছে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভূর মন্দির ও পিতৃভিটা এখন সত্যি দুর্বিপাকে আছে। তাই বিশ্বের সনাতন ধর্মীদের পবিত্র স্থানের সুনাম, গৌরব, ঐতিহ্য ও সম্মান রক্ষায় প্রশাসনসহ সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করছি।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, ইসকনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর তারা লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সেবা সংঘের প্রচার সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষ, মাদকপুর সেবা সংঘের সহ-সভাপতি অরুন কুমার নাগ, সিলেট জয় মহাপ্রভূর সেবক সংঘের কোষাধ্যক্ষ কালী সংকর দত্ত ও চট্টগ্রাম সেবক সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম মিত্র।
এফএম/আরআর-০৫