কমলগঞ্জে 'একঘন্টার সমাজসেবা কর্মকর্তা' হলো স্কুলছাত্রী সুমী

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


অক্টোবর ২১, ২০২০
১২:২১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০২০
১২:২১ পূর্বাহ্ন



কমলগঞ্জে 'একঘন্টার সমাজসেবা কর্মকর্তা' হলো স্কুলছাত্রী সুমী

মাত্র একঘণ্টার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, তাও ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। না, বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। আসলে বিষয়টি ছিল প্রতীকী। আজ মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের হলরুমে এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করা হয়।

‘শিশুর সাথে শিশুর তরে, বিশ্ব গড়ি নতুন করে’- এই স্লোগান নিয়ে আন্তর্জাতিক কন্যা দিবস উপলক্ষে রিলায়েন্ট উইমেন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, সিলেট এর উদ্যোগে ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় ওয়াই-মুভস প্রকল্পের গার্লস টেইক ওভার-২০২০ কর্মসূচির আওতায় সুবিধাবঞ্চিত কন্যাশিশুদের অধিকার সচেতন করতে একঘণ্টার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করানো হয় ওই ছাত্রীকে।

উপজেলার তিলকপুর গ্রামের অবহেলিত সুবিধাবঞ্চিত শব্দকর সম্প্রদায়ের মেয়ে দয়াময় সিংহ উচ্চবিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমী রানী করকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে সুমী রানী কর সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এনে বিভিন্ন ধরণের ভাতা নিশ্চিত করতে সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন কমলগঞ্জ উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রাণেশ চন্দ্র বর্মা। রিলায়েন্ট উইমেন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, সিলেট এর প্রোগ্রাম ও এডমিন অফিসার মো. মহসিন রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, লেখক-গবেষক আহমদ সিরাজ, সাংবাদিক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন, প্রকল্প কর্মকর্তা বাবুল কুমার সিংহ, শিশু শিক্ষার্থী সুবর্ণা রানী কর প্রমুখ।

জানা গেছে, সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত কন্যাশিশুদের শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা, বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালনের উদ্দেশে ও তাদের অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রিলায়েন্ট উইমেন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, সিলেট এর উদ্যোগে ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় ওয়াই-মুভস প্রকল্পের গার্লস টেইক ওভার-২০২০ কর্মসূচির আওতায় জাতীয় শিশু টাস্কফোর্স এর অধীনে পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ওয়ার্ড (তিলকপুর, কমলগঞ্জ) কমিটি (এনসিটিএফ) গঠন করা হয়। এ কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয় দয়াময় সিংহ উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুবর্ণা রানী করকে।

 

এসডি/আরআর-১২