কুলাউড়া প্রতিনিধি
নভেম্বর ০৫, ২০২০
০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০৫, ২০২০
০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে স্কুলছাত্রী শাম্মী আক্তারকে বিষপানে মৃত্যুতে প্ররোচনাকারী দুই বখাটে ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও রয়েছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শাম্মীর পরিবার। গতকাল বুধবার (৪ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলন করে অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাম্মীর মা নাছিমা বেগম। এ সময় শাম্মীর বাবা কালা মিয়া ও দাদি সাহেদা বেগমও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলন শাম্মীর বাবা, মা ও দাদির কান্না যেন থামছিল না।
শাম্মীর পরিবারের দাবি, স্থানীয় প্রতাবী অগ্রনী উচচবিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শাম্মী আক্তারকে পার্শ্ববর্তী শংকরপুর গ্রামের বকুল মিয়ার বখাটে পুত্র সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক রিজন আহমদ বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে আমরা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রিজনের প্ররোচনায় বিষপান করে মৃত্যুবরণ করেছে শাম্মী। নানা নাটকীয়তার পর মৃত্যুর ২ দিন পরে গত ২৭ অক্টোবর পুলিশ বখাটে রিজন ও তার সহযোগী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক নুরুলের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করলেও তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা নেই বললেই চলে। পুলিশ শাম্মীর সঙ্গে রিজনের ২৮ মিনিট কথোপকথনের কল রেকর্ড এখনও উদ্বার করেনি। এই কল রেকর্ডেই মিলবে শাম্মীর মৃত্যুর আসল রহস্য। রিজনের পরিবারের সদস্যরা শাম্মীর পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোসহ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। বিষয়টি তারা পুলিশকে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই মাসুদ আলম ভুইয়া বলেন, 'শাম্মীর সঙ্গে ২৮ মিনিট মোবাইলে কথোপকথনের রেকর্ড সংগ্রহের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এখনও রেকর্ড পাইনি। অন্যদিকে আসামিরা বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে তাদেরকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।'
উল্লেখ্য, কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে দুই বখাটের উৎপাত ও প্ররোচনায় বিষপান করে শাম্মী আক্তার (১৫) নামক এক স্কুলছাত্রী। গত ২৫ অক্টোবর রাত ১১টায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে সে মারা যায়। শাম্মী আক্তার প্রতাবী অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মৃত্যুর ২ দিন পর ২৭ অক্টোবর রাতে শাম্মীর পিতা কালা মিয়া বাদী হয়ে শংকরপুর গ্রামের বকুল মিয়ার পুত্র রিজন আহমদ (২১) ও তার সহযোগী করেরগ্রামের মইনুল মিয়ার পুত্র নুরুল ইসলামকে (১৮) আসামি করে কুলাউড়া থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা (নং- ১৮) দায়ের করেন।
জেএইচ/আরআর-১৩