ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে চিঠি পৌঁছার আগেই দেশ ছাড়েন পি কে হালদার

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ০১, ২০২১
১০:২৬ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০১, ২০২১
১০:২৬ অপরাহ্ন



ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে চিঠি পৌঁছার আগেই দেশ ছাড়েন পি কে হালদার

ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার চিঠি পৌঁছার কয়েক মিনিট আগেই দেশ ছেড়ে পালান প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। 

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বেলা তিনটা ৩৮ মিনিটে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদার দেশত্যাগ করেন। 

এর আগের দিন পি কে হালদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ডাকযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশ বরাবরে চিঠি পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই চিঠি ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পৌঁছায়।

ইমিগ্রেশন পুলিশের বরাত দিয়ে সোমবার (১ মার্চ) এসব তথ্য জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক।

তিনি কয়েকটি গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে পি কে হালদার দেশত্যাগ করেন। তার দুটি পাসপোর্টের আরেকটি গ্রানাডার।

পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও পি কে হালদার কীভাবে বিদেশে পালিয়ে গেলেন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তা জানতে চান হাইকোর্ট। ১৫ মার্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। ধার্য তারিখে এসব তথ্য লিখিতভাবে আদালতকে জানানো হবে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত  হয়। গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুল দেন। পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ও গ্রেপ্তারে পদক্ষেপ বিষয়ে লিখিতভাবে দুদক চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের জানাতে বলেন। 

পরবর্তী সময়ে পিপলস লিজিংয়ে পাঁচ আমানতকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদারসহ ২৫ ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। 

এর ধারাবাহিকতায় ২১ জানুয়ারি হাইকোর্ট অর্থ পাচার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তদারকি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে গত এক যুগে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পদবি, নাম–ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য জানতে নির্দেশ দেন।

বিএ-১৯