আমদানিতেও কমছে না চালের দাম

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ০৭, ২০২১
০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০৭, ২০২১
০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন



আমদানিতেও কমছে না চালের দাম

বাজারে এখন কমবেশি আমদানির চাল মিলছে প্রায় সব দোকানেই। তার পরও দাম কমছে না, উল্টো আরো বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দু-এক টাকা বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। ট্রেডিং করপোরেশনের হিসাবে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এখন চালের দাম বেশি রয়েছে ৪২ শতাংশ পর্যন্ত। রমজান মাস সামনে রেখে চালের বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ভোক্তারা। চালের দাম বাড়লেও সবজিতে এখনো স্বস্তি রয়েছে। যদিও কিছু কিছু সবজির দাম ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুম শেষ হওয়ায় সরবরাহ কমে আসছে। তাই কয়েকটি সবজির দাম বাড়তি।

টিসিবির বাজার তথ্যে দেখা যায়, মিনিকেট ও নাজিরশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। ঠিক এক সপ্তাহ আগে এ মানের চাল পাওয়া গেছে ৫৮ থেকে ৬৪ টাকা কেজি দরে। গত বছর এই সময় এ মানের চাল বিক্রি হয়েছে ৫৪ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। সে হিসাবে সরু চালের দাম বেশি রয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। আটাশ, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৬ টাকা কেজি।

গত বছর এ সময় এই মানের চাল বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ মাঝারি মানের চালের দাম ১৭ শতাংশ বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। স্বর্ণা, লতাসহ মোটা চালের কেজি এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি, যা সপ্তাহখানেক আগেও ৪৪ থেকে ৪৮ টাকায় পাওয়া যেত। টিসিবির হিসাবে গত বছর এ সময় মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ দাম বেড়েছে ৪১.৭৯ শতাংশ।

প্লাস্টিকের বস্তায় প্যাক করা আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সরু ও মাঝারি চাল বিক্রি করা হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। মোটা চাল বিক্রি করা হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে।

এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরাও মনে করেছিলাম আমদানি বাড়লে দাম কমবে, কিন্তু দেশি চালের দাম কমেনি। আমদানির চাল দেশি চালের তুলনায় কিছুটা কম। কিন্তু নতুন চালে অনেক ক্রেতাই আস্থা পাচ্ছে না, তাই বিক্রিও কম।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে দেশে তিন লাখ টন চাল এসেছে। সরকারি পর্যায়ে এসেছে দুই লাখ টন। সব মিলিয়ে দেশে পাঁচ লাখ টন চাল এসেছে। প্রতিদিন দেশে চার হাজার টন চাল আসছে। সরকারিভাবে দেশে চাল ও গম আসবে ১২ লাখ টন আর বেসরকারিভাবে চাল আসবে ১০ লাখ টন। সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিদিনিই চুক্তি করা হচ্ছে। আমদানির অনুমোদন নেওয়া ব্যবসায়ীদের আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে আমদানির এলসি খুলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানির ক্ষেত্রে খুলনায় কোনো সমস্যা নেই। চট্টগ্রামে কিছু সমস্যা ছিল, এখন তা-ও কেটে গেছে। শিগগিরই চালের দাম আরো কমে যাবে। এদিকে বাজারে চালের দাম কমাতে সরকার ওএমএসে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করছে। সরকারিভাবে আমদানি করা চাল যাচ্ছে সেখানে।

আরসি-০৭

সূত্র: কালের কণ্ঠ