সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ০৮, ২০২১
০৮:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৮, ২০২১
০৮:৫১ অপরাহ্ন
যুক্তরাজ্যের লন্ডন দূতাবাসে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। নিজ দেশের সেনাবাহিনীকে দায়ী করে একে আরেকটি ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে বর্ণনা করছেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত কিউ জাওয়ার মিন গত মাসে মিয়ানমারের অভ্যুত্থান নিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন।
তিনি সিএনএনকে জানান, কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেও বুধবার দূতাবাসে ঢুকতে পারেননি। ভেতরে কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছে, তাদেরও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
অন্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মিয়ানমারের সামরিক অ্যাটাশে ভবনটির নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। অন্তত সাতজনের একটি দল ভেতরে রয়েছে, যাদের মধ্যে একটি শিশুও আছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে সেনা কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। দূতাবাসে ফোন ও ইমেইল করে কোনো উত্তর পায়নি সিএনএন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় সেনাবাহিনী। এর পর থেকে দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। সহিংসতায় এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মানুষ মারা গেছে। আন্তর্জাতিক নিন্দা ও অবরোধের মুখেও দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে সামরিক জান্তা।
রাষ্ট্রদূত কিউ জাওয়ার মিন মার্চে এক বিবৃতিতে সু চি’র মুক্তি দাবি করেন ও দূতাবাস খোলা রাখার অঙ্গীকার করেন। ওই সময় যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক রাব রাষ্ট্রদূতের সাহস ও দেশপ্রেমের প্রশংসা করেন।
বিবৃতিতে ‘বিভক্ত’ মিয়ানমার জুড়ে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
এ ঘটনার পর মিনের বিরুদ্ধে সমন জারি করে সেনা কর্তৃপক্ষ ও তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করে।
একটি সূত্র বলছে, লন্ডন দূতাবাসের ঘটনায় সেখানকার কর্মকর্তারা অবাক হয়েছেন, যদিও তারা অনুমান ছিল রাষ্ট্রদূতের বিবৃতির জবাবে পাল্টা কোনো ব্যবস্থা নেবে মিয়ানমানের সেনাবাহিনী।
এএফ/০২