দূরপাল্লার বাস চালুর দাবিতে শ্রমিকদের স্মারকলিপি

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ০৪, ২০২১
০৬:২৬ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০৪, ২০২১
০৬:২৬ অপরাহ্ন



দূরপাল্লার বাস চালুর দাবিতে শ্রমিকদের স্মারকলিপি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গণপরিবহন চালু করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ঢাকা জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।

মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে ঢাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তিন দফা দাবি সংবলিত লিখিত এ স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাদিকুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি ওসমান আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ, মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। দেশে প্রায় ৭৫ শতাংশ যাত্রী ও ৬৫ শতাংশ পণ্য সড়কপথে বাস ও ট্রাকের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়ে থাকে। 

জাতীয় অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবহন খাত। পরিবহন ব্যবস্থা অনেকটা শরীরে রক্তের প্রবাহের মতো। 

রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে শরীর যেমন অচল হয়ে যায় একইভাবে পরিবহন খাত সচল হলে দেশও সচল হতে বাধ্য।

এতে বলা হয়, এই সড়ক পরিবহন খাতে ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। করোনাকালে যেহেতু পরিবহন শ্রমিকদের গণমানুষের সংস্পর্শে থাকতে হয়, তাই পরিবহন শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। ঝুঁকিতে থাকেন যাত্রীও।

বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণরোধে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সেই বিবেচনায় সরকারের গণপরিবহন বন্ধ করা যুক্তিসঙ্গত। 

তবে শ্রমিকদের জীবিকার নিশ্চয়তার বিষয়টিও ভাবা দরকার। জীবন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনে জীবিকা প্রয়োজন।

দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, শপিংমল, বাজার, অফিস ও আদালতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তসাপেক্ষে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। 

কিন্তু গণপরিবহন সে শর্তের আওতায় চালু করা হয়নি। যদিও যাত্রীরা ঠিকই সাধারণ রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মিনি-ট্রাকে চলাচল করছেন। 

অতিরিক্ত ভাড়া যেমন দিতে হচ্ছে তেমনই স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বরং বেড়েছে। শুধু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শ্রমিক অসন্তোষও তীব্র হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীকে গণপরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পরিবহন শ্রমিকরা উপায়ন্তর না পেয়ে আপনার কাছে আবেদন জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে থোক বরাদ্দের অনুরোধ জানানো হয়।

তিন দাবিতে বলা হয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যপরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করা। সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া। সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএস-এর চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা।

 

বি এন-৭