গ্রেপ্তারকৃত আনসার আল ইসলামের তিনজনই সিলেটের

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ০৯, ২০২১
০৫:১৭ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০৯, ২০২১
১০:৪১ অপরাহ্ন



গ্রেপ্তারকৃত আনসার আল ইসলামের তিনজনই সিলেটের

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি টিম। 

শনিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- মো. জসিমুল ইসলাম ওরফে জ্যাক, মো. আব্দুল মুকিত, মো. আমিনুল হক ও সজীব ইখতিয়ার। তাদের কাছ থেকে একটি ব্যাগ, একটা চাপাতি, ৫টি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

এসব পরিকল্পনা সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি টিম।

শনিবার যে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে 

মো. আব্দুল মুকিত হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার মারকাজুস সুন্নাহ আল ইসলামিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। মো. আমিনুল হক সিলেটের আল হিদায়া ইসলামিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র এবং মো. সজীব ইখতিয়ার সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত অপরজন জসিমুল হক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অতীশ দীপংকর ইউনিভার্সিটির বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

 শনিবার তাদের গ্রেপ্তারের পর রবিবার (৯ মে) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের গ্রেপ্তার সদস্যরা ঢাকা ও সিলেটে পুলিশ ও বিজিবির টহল টিমে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। 

এ চক্রের বাকি দুই সদস্য হিজরতের উদ্দেশে আফগানিস্তান গমন করে। গ্রেপ্তার এই চারজনেরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে কথিত হিজরতের মাধ্যমে আফগানিস্তান পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। 

এজন্য তারা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে রেকি করে।

সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আনসার আল ইসলামের গ্রেপ্তার সদস্যরা নিষিদ্ধ সংগঠনের আদর্শ বাস্তবতায়নের লক্ষ্যে অনলাইনে টেলিগ্রাম আ্যপে সায়েন্স প্রজেক্ট নামে গ্রুপ তৈরি করে সেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করে বিস্ফোরক প্রস্তুতের চেষ্টা করেছিল। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ডিভাইস পর্যালোচনা করে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, সম্প্রতি গ্রেপ্তাররা সংগঠনের দায়িত্বশীলদের নির্দেশে সিলেটের কোতয়ালী থানা এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে হোটেল ম্যানেজারকে আহত করে পালিয়ে যায়।

মোহাম্মদপুর বসিলা এলাকায় জঙ্গিদের আনাগোনা বেশি কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শহরতলী এলাকাগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করে এবং ঘনবসতি। আর এই সব জায়গাকে জঙ্গিরা তাদের আস্তানা হিসাবে বেছে নেয়।

বসিলা এলাকায় সাবেক হেফাজত ইসলাম নেতা মামুনুল হকের আধিপত্য ছিল। বসিলা এলাকায় আশ্রয় নেওয়া জঙ্গিদের সাথে মামুনুল হকের কোনো যোগাযোগ ছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামুনুল হকের বিষয়ে আমাদের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন। মামুনুল হকের সঙ্গে জঙ্গিদের বিষয়ে কিছু কথাবার্তা উঠে এসেছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করব।

বি এন -০৫