শহীদ আহমদ চৌধুরী, ফেঞ্চুগঞ্জ
জুন ২৩, ২০২১
০৯:৫০ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৩, ২০২১
০৯:৫০ অপরাহ্ন
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার শাহজালাল সার কারখানা মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ৩ মাসের মাথায় দেয়ালে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। মসজিদের ভেতরে ও বাইরে একই ধরনের ফাটল দেখা দেওয়ায় মসজিদে নামাজ পড়েতে আসা মুসল্লিরা রয়েছেন আতঙ্কে।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, ৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ করে। কাজ শেষে তিন মাস আগে মসজিদ হস্তান্তর করেন। এরপর এত অল্প সময়ে মসজিদের দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সঙ্গে আতঙ্ক বিরাজ করছে মুসল্লিদের মাঝে। এত বড় বাজেটের কাজ কেন তিন মাসের মাথায় এমন হবে এ প্রশ্ন এখন মুসল্লি ও এলাকাবাসীর মাঝে। এতে বড় ধরনের পুকুরচুরি হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রথমে যখন মসজিদে নামাজ পড়া শুরু হয়, তখন মুসল্লিদের ভিড়ে মসজিদ কানায় কানায় ভরে যেত। এখন দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ার পর থেকে মুসল্লিদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
নাম প্রকাশ না করে এক শ্রমিক বলেন, মসজিদের কাজে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। এখন মানুষের মনে ভূমিকম্পের ভয় কাজ করছে। মসজিদের এই বড় ফাটল সত্যি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মসজিদে লাল মাটি দিয়ে ফ্লোরের নিচ এবং সামনের ও পেছনের অংশ ভরাট করা হয়েছে, যার ফলে মাটি চাপ দিয়েছে। পাইলিং যেমন হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য ফাটল দেখা দিয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি দাবি করেন, এই শাহাজালাল সার কারখানায় তিনি ২১টি ভবন নির্মাণ করেছেন। তার কাজের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ নেই। কোনো কোনো ভবনে মাঝে-মধ্যে এমন ফাটল দেখা দিতেই পারে। এটা বড় কোনো ব্যাপার না। আর এখানে তার হাত-পা বাঁধা ছিল। পাইলিং যেমন হওয়ার কথা তা হতে দেওয়া হয়নি। যেখানে মসজিদ হওয়ার কথা ছিল সেই জায়াগায় হয়নি। তবে কার বা কাদের জন্য তার হাত-পা বাঁধা ছিল তা তিনি বলেননি।
শাহাজালাল সার কারখানার প্রকল্প পরিচালক মো. আনছার আলী সিকদার বলেন, কেন এমন হলো বুঝতে পারছি না। আসলে এমন হওয়ার কথা নয়। তবে আমরা এরই মধ্যে সব ঠিক করে ফেলব। আর এই কাজটা আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে শুরু হয়েছে। এখন সব ঠিক হয়ে যাবে।
এসএ/আরআর-০১