নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৬, ২০২১
০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ২৬, ২০২১
০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
সিলেট করোনা আইসোলেশন সেন্টার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসিইউর ১৬টি এসির মধ্যে ৭টি বিকল হয়ে আছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। এসি বিকল থাকায় গরমে রোগীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসি বিকল নয়, গ্যাস কমে যাওয়ায় এগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ৯৬টি শয্যা রয়েছে। এরমধ্যে ১৬টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। এরমধ্যে ডায়ালাইসিস-এর রোগীদের জন্য দুটি শয্যা বরাদ্দ রয়েছে। হাসপাতালটির আইসিইউ প্রায় সব সময় রোগীতে পূর্ণ থাকে। আইসিইউ বেডের প্রতিটির উপরে রয়েছে এসি। এছাড়া বড় একটি পাঁচ টনের এসি রয়েছে। বড় এসি সচল থাকলেও বাকি ১৬টি ছোট এসির মধ্যে ৭টি কয়েকদিন ধরে বিকল হয়ে আছে বলে জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন সিলেট মিররকে বলেন, ‘গরমের কারণে আইসিইউর দরজা খুলে রাখতে হচ্ছে। আইসিইউ ইউনিটের সব ফ্যান চালু করে, দরজা-জানালা খুলে দিয়েও গরম থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক রোগীর স্বজন ব্যক্তিগতভাবে টেবিল ফ্যান, স্ট্যান্ড ফ্যান কিনে আনতে বাধ্য হচ্ছেন। দরজা জানালা খুলে দেওয়ায় বাইরে থেকে হাসপাতালের বর্জ্য পোড়ানোর গন্ধও আসছে।’
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালটিতে ৯০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এখন এই হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রোগী ছাড়া কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না। আইসিইউর ১৪টি শয্যার মধ্যে সবগুলোতেই এখন রোগী ভর্তি আছেন। তবে, ডায়ালাইসিসের দুটি শয্যার মধ্যে একটি খালি রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র সিলেট মিররকে বলেন, ‘হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা ছোট ১৬টি এসি ও বড় একটি এসি রয়েছে। বড় এসি সচল আছে। তবে ছোট ১৬টির মধ্যে ৭টি এসি থেকে বাতাস খুব কম বের হচ্ছে। আমরা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বৃহস্পতিবার এসিগুলো দেখে গেছেন। গ্যাস কমে যাওয়ায় ঠান্ডা কম হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন। দ্রুত এগুলো ঠিক করে দেবেন তারা।’
এনএইচ/আরসি-১১