বিধিনিষেধ শিথিলে খুলেছে দোকানপাট, বেড়েছে ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুলাই ১৬, ২০২১
০৩:৫০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৬, ২০২১
০৩:৫০ অপরাহ্ন



বিধিনিষেধ শিথিলে খুলেছে দোকানপাট, বেড়েছে ভিড়

দুই সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ শেষে সারা দেশের মতো সিলেটেও খুলেছে দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল। প্রথম দিন সিলেট নগরের মার্কেট ও মলগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। 

বৃহস্পতিবার সকালে নগরের আল-হামরা শপিং সিটি, শ্যামলী মার্কেট, ফেডারেল ট্রেড সেন্টার, কাজী ম্যানশন, সিটি সেন্টার, ব্লু ওয়াটার, শুকরিয়া মার্কেট, হাসান মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দোকানের কর্মচারীরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। সকালের দিকে ক্রেতাও ছিলেন কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ক্রেতাদের ভিড়।

বেশিরভাগ মার্কেটের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেখা গেলেও তা ব্যবহার হয়েছে খুব কমই। ক্রেতাদের বেশিরভাগই মাস্ক পড়েই আসেন। কিন্তু মার্কেটে ঢুকার পর অনেকেই মাস্ক থুতনিতে বা গলায় ঝুলিয়ে রাখেন। দোকানিদের বেশিরভাগের মাস্ক ছিল থুতনিতে বা পকেটে। ক্রেতারা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করেই তারা এসেছেন। এছাড়া অনেকেই বিয়ের অনুষ্ঠানের কেনাকাটা করতে এসেছেন। 

নগরের শুকরিয়া মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা সানজিদা বেগম বলেন, ‘ঈদের পর ভাইয়ের বিয়ে। তাই কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি। আবার লকডাউন দিলে সব বন্ধ হয়ে যাবে।’

নগরের ফেডারেল ট্রেড সেন্টারের কাপড় বিক্রেতা মিনহাজ আহমদ বলেন, ‘প্রথম দিন যে পরিমাণ ক্রেতা এসেছেন তাতে আলহামদুলিল্লাহ। আগামী কয়েকদিন এরকম ক্রেতা থাকলে আমাদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারব।’

তবে অভিজাত মার্কেটগুলোতে ক্রেতা নেই জানিয়ে সিটি সেন্টার মার্কেটের ব্যবসায়ী মিলাদ আহমদ সিলেট মিররকে বলেন, ‘মার্কেট খুলে আমাদের আরও ক্ষতি হয়েছে। কারণ বড় মার্কেটে ক্রেতা নেই। ব্যবসায়ীদের প্রণোদনার ব্যবস্থা না করলে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবে।’

শুধু কাপড়ের মার্কেট নয়, ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল, জুয়েলারি, সব ধরনের মার্কেটে ছিল মানুষের ভিড়। বেলা দুইটার দিকে নগরের করিম উল্লাহ মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে সাদেক আলী বলেন, ‘মোবাইল রিপেয়ার করতে এসেছিলাম। ভেতরে মানুষের ভিড়ে হাটা যাচ্ছে না।’

ভিড় থাকলেও বিক্রেতাদের বেশিরভাগের মুখে ছিল না মাস্ক। এ বিষয়ে শ্যামলী মার্কেটের মো. ইউনুস বলেন, ‘গরমের কারণে বেশিক্ষণ মাস্ক লাগিয়ে থাকা যায় না। তবে ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করলেই মাস্ক পরি। তাদেরও মাস্ক পরতে বলি।’

সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন মনে করেন নিজ থেকে সচেতন না হলে বাধ্য করে কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মানানো সম্ভব নয়।’

তিনি সিলেট মিররকে বলেন, ‘দোকানপাট খোলার আগে আমরা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বলেছিলাম। বড় মার্কেটগুলো এই নির্দেশনা মানলেও ছোট মার্কেটে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী-ক্রেতা উভয় পক্ষের সচেতনতার অভাব রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মার্কেট খুলে ব্যবসায়ীদের খুব বেশি লাভ হবে না। ব্যবসায়ীরা তাদের কর্মচারীর বেতন তুলতে পারলেই হলো। কারণ এবার বিয়ের বাজার কম হচ্ছে। তারসঙ্গে প্রবাসীরাও দেশে নেই।’

আরসি-০৪