বিয়ানীবাজারে বাড়ছে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা

শিপার আহমেদ, বিয়ানীবাজার


জুলাই ২৭, ২০২১
০৯:৫৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৭, ২০২১
০৯:৫৯ অপরাহ্ন



বিয়ানীবাজারে বাড়ছে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা

সিলেটের বিয়ানীবাজারে ভয়-শঙ্কা কাটিয়ে বাড়ছে করোনা টিকাগ্রহীতার সংখ্যা। নির্ধারিত কেন্দ্রে এসে লাইন ধরে নানা বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ টিকা নিচ্ছেন। এমনকি টিকা নিতে আসা মানুষকে সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে হাসপাতাল কৃর্তপক্ষকে। টিকা নিতে আগ্রহী অনেকে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মানুষের উপস্থিতির কারণে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। গতকাল সোমবার (২৬ জুলাই) বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২টি বুথে টিকা নেন প্রায় ৮০০ জন।

দ্বিতীয় ধাপে চীনের তৈরি সিনোফার্মের ভিরোসেল ভ্যাকসিন দিয়ে ১২ জুলাই থেকে নির্ধারিত ইউনিটে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এ পর্যন্ত বিয়ানীবাজারে টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ১৩০জন। টিকা দেওয়ার কার্যক্রমের শুরুতে প্রথমদিন টিকা নিয়েছিলেন ২১২ জন। এছাড়া টিকা নিতে আবেদন করেন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার জন।

সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় কয়েকগুণ মানুষের উপস্থিতি। সবাই টিকা নিতে টিকার সনদ নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। বয়সসীমার কারণে আগে টিকা নিতে পারেননি অনেকে। এবার টিকা নিতে পেরে তারা অনেকটা স্বস্তি বোধ করছেন। করোনা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যেই বিয়ানীবাজারে টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। একদিকে যেমন টিকার জন্য নিবন্ধন বাড়ছে, তেমনি কেন্দ্রে ভিড় বাড়ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ টিকা নিচ্ছেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের লাইনও বড় হচ্ছে প্রতিদিন। 

কথা হয় টিকা নিতে আসা মাহবুবুর রহমান সুমন নামের এক যুবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, এখানে টিকা নিতে এসেছি না কি করোনাভাইরাস সঙ্গে নিয়ে বাসায় যাচ্ছি বলতে পারছি না। হাসপাতালে সকাল থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হাজারও মানুষ, অথচ কোনা প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ। অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। একজনের গা ঘেঁষে আরেকজন দাঁড়িয়ে আছেন সারিতে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিকাকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, টিকা নিতে গিয়ে মানুষকে কিছু ক্ষেত্রে সামান্য ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। কিছু জায়গায় টিকা নেওয়ার পর বিশ্রাম না নিয়েই গ্রহীতা চলে যাচ্ছিলেন। নারী-পুরুষদের পৃথক কক্ষে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। এদিকে লকডাউনের মধ্যে যানবাহন না পেয়ে অনেকে টিকা নিতে যেতে ভোগান্তিতে পড়েন। রিকশা পেলেও ভাড়া দিতে হয় অনেক বেশি।

বিয়ানীবাজার উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান বলেন, গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ (গতকাল) টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় অনেক বেশি। যার কারণে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যারাই টিকা নেবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে নেবেন- এ আহ্বান সবার প্রতি।

তিনি বলেন, আগের তুলনায় টিকাগ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে। মানুষের মনে যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়ে গেছে। তাছাড়া নতুন করে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরুর আগে নিবন্ধনের বয়সসীমা ৪০ বছর ছিল। এখন সেটা কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়েছে। আমরা সবাইকে টিকা প্রদান করব।


এসএ/আরআর-০১