সিলেটে নানা অজুহাতে বের হচ্ছেন মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুলাই ২৮, ২০২১
১১:১৭ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৮, ২০২১
১১:১৭ অপরাহ্ন



সিলেটে নানা অজুহাতে বের হচ্ছেন মানুষ
স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

সারাদেশে চলছে লকডাউন। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার থাকা সত্ত্বেও মানুষ বের হচ্ছেন। কেউ কেউ প্রয়োজনে আবার অনেকে নানা অজুহাতে ঘরে থেকে বের হচ্ছেন। বের হওয়া মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাব প্রকট। নিত্যপণ্যের বাজার, মাছের আড়ৎ থেকে হাসপাতাল সর্বত্র মানুষের ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। নগরে যানবাহন চলাচলও বেড়েছে।

গত মঙ্গলবার ছিল লকডাউনের পঞ্চম দিন। নগরের প্রতিটি প্রবেশপথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট। তা সত্ত্বেও নগরে যানবাহনের সংখ্যা অনেক। কাজিরবাড়ার মাছের আড়তে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কারও মুখে মাস্ক আছে কারো নেই; উপচেপড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। বরং, জটলা হচ্ছে বারবার। এমন চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই- দেশে এখন মহামারি চলছে।

নগরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শতশত মানুষ চেম্বারের সামনে ভিড় করছেন। অনেকে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে ভিড় করছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব বলতে কিছু নেই। হাঁচি-কাঁশি দিচ্ছেন রোগীরা। আবার অনেকে অন্যান্য জটিল রোগের কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। এ অবস্থায় সংক্রমণের শঙ্কা বেড়েই চলেছে।

গতকাল নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন ছিল। ভোর থেকেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে যাত্রীদের পরিচয় ও জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং রাস্তার বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করে। প্রয়োজন নিয়ে বের হওয়া ব্যক্তিদের ছেড়ে দিচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। আবার অনেকে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও অজুহাত দেখাচ্ছেন। কেউ জরিমানা গুণেছেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার একজন উপপরিদর্শক জানান, ‘প্রয়োজনে মানুষ বের হবে- এটা স্বাভাবিক। কিন্তু, অনেকে এমন অজুহাত দেখায় যা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়।’ ভোর থেকেই নগরে প্রবেশ করতে থাকে যানবাহন। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরে বাড়ে গাড়ি চলাচল। 

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, ‘সরকারঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন সফল করতে মানুষকে ঘরে থাকায় উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের সদস্যরা। আমরা অনুরোধ করছি- সাধারণ মানুষ যাতে লকডাউনে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হন। এতে নিজে ঝুঁকিতে পড়বেন এবং পরিবারের সদস্যদের ঝুঁকিতে ফেলবেন।’

বিএ-১২