তিন মাস ধরে তালাবদ্ধ তাহিরপুরের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র

আবির হাসান-মানিক, তাহিরপুর


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
১১:১৫ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
১১:১৫ অপরাহ্ন



তিন মাস ধরে তালাবদ্ধ তাহিরপুরের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন। এখানকার অর্ধলক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র প্রতিষ্ঠান শ্রীপুর উত্তর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কেন্দ্রটিতে মেডিকেল অফিসার, উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার, ফার্মাসিস্ট, অফিস সহকারী কেউ না থাকায় তিন মাস ধরে তালাবদ্ধ রয়েছে এটি।

এছাড়া এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাগজে-কলমে একজন এমবিবিএস চিকিৎসক থাকলেও বাস্তবে তার হদিস নেই। তার অনুপস্থিতিতে সেখানে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতেন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার জয়দেব চন্দ্র হাওলাদার। চলতি বছরের ৭ জুন তিনিও অন্যত্র বদলি হয়ে চলে গেছেন। পরে সেখানে যোগদান করেন মিথুন সরকার নামের একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার। তিনি এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সপ্তাহখানেক কর্মরত ছিলেন। পরে ওই চিকিৎসকও সংশ্লিষ্ট কাউকে না বলেই চলে যান। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তালাবদ্ধ এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তিনতলা বিশিষ্ট ভবনটির মূল দরজায় তালা ঝুলছে। কোনো কার্যক্রম না থাকায় স্থানীয় শিশুরা ভবনটির এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছে। দেখলে মনে হবে এটি একটি পরিত্যক্ত ভবন। চিকিৎসকহীন তালাবদ্ধ এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নিজেই যেন রোগী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের বাগলি গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, মাসের পর মাস চলে যায় এখানে এসে কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এখানে যে একটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, এ বিষয়টি এখানকার মানুষ ভুলে যেতে বসেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আহমদ শাফী বলেন, শ্রীপুর উত্তর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. জুনাইদ আহমদ রনি বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কাজ করেন। তাছাড়া মিথুন সরকার নামের একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার এখানে যোগদান করে আমাকে না বলেই চলে যান। এ বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, শ্রীপুর উত্তর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিষয়টি অবগত আছি। সেখানে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তিনি অন্যত্র চলে গেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দ্রুত চালু করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


এএইচ/আরআর-১২