নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় এখন থেকে তিনটি বিশেষ ‘এন্ট্রি পয়েন্ট’ চালু করা হয়েছে। এ সব এন্ট্রি পয়েন্ট দিয়ে জাফলংয়ে ঢোকার সময় ১০ টাকা প্রবেশ ফিও চালু করা হয়েছে। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়। এন্ট্রি পয়েন্টে পর্যটকেরা নির্ধারিত খরচে ট্যুর গাইড, ফটোগ্রাফার ও নৌকা ভাড়া করতে পারবেন। পাশাপাশি থাকবে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সেবা।
পর্যটন উন্নয়ন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলের পর্যটককেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ জাফলংয়ে বেড়াতে যান। প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার মানুষের সেখানে সমাগম হয়। ছুটির দিনগুলোতে এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বেড়াতে যাওয়া লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনটি এন্ট্রি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়েন্টগুলো হলো, জাফলং বিজিবি পয়েন্ট, বল্লাঘাট পয়েন্ট ও জিরো পয়েন্ট। এখন থেকে এই তিন এন্ট্রি পয়েন্ট দিয়ে ১০ টাকা প্রবেশ ফি কেটে জাফলংয়ে প্রবেশ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে তিন মাস এই কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে পুরো প্রক্রিয়া আরও পর্যটকবান্ধব করা হবে বলে জানা গেছে। জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন এটি তদারকি করছে।
পর্যটন উন্নয়ন কমিটি সূত্রে আরও জানা যায়, জাফলংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা এসব এন্ট্রি পয়েন্টে নির্ধারিত খরচে ট্যুর গাইড, ফটোগ্রাফার ও নৌকা ভাড়া করতে পারবেন। ফলে এতদিন জাফলংয়ে ফটোগ্রাফার বা মাঝিদের যে নৈরাজ্য ছিল তা অবসান হবে। কারণ এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে একটি সিরিয়াল দেওয়া হবে। যে ফটোগ্রাফার, মাঝি বা ট্যুর গাইড নির্ধারিত ভাড়া চেয়ে বেশি দাবি করবেন তাদের ভবিষ্যতে আর সিরিয়াল দেওয়া হবে না।
পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য থাকবে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সেবা। এছাড়া এ সব এন্ট্রি পয়েন্টে পর্যটকরা বিনামূল্যে বাথরুম ব্যবহার করতে পারবেন, থাকবে কাপড় বদলেরও ব্যবস্থা।
জাফলং পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান সিলেট মিররকে বলেন, ‘এখন থেকে তিনটি এন্ট্রি পয়েন্ট দিয়ে ১০ টাকা ফি দিয়ে জাফলংয়ে প্রবেশ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে পর্যটকদের ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এরপর টিকিট দেখালে ফটোগ্রাফার, ট্যুর গাইড ও নৌকার মাঝি সহজে পাওয়া যাবে। তিনটি পর্বে ভাড়া নিয়ে একধরনের নৈরাজ্য ছিল। সেটি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও কোনো পর্যটক অভিযোগ করলে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে তিনটি এন্ট্রি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পর্যটকসহ সবার জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আগামীতে পুরো জাফলংকে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করা হবে।’
এনএইচ/বিএ-০৮
