নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ০১, ২০২১
০১:২৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০১, ২০২১
০১:২৯ পূর্বাহ্ন
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের মা-বাবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রায়হান হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বহিস্কৃত উপ পরিদর্শক (এসাআই) আকবর হোসেন ভূইয়া। এসময় রায়হানের মা-বাবার কাছে প্রাণভিক্ষাও চান আকবরসহ অন্য আসামিরা। তবে তাদেরকে কখনও ক্ষমা করবেন না বলে জানিয়েছেন রায়হানের মা সালমা বেগম ও সৎ বাবা হাবিবুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রায়হান হত্য মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ শেষে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান রায়হানের মা ও সৎ বাবা।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সালমা বেগম ও হাবিবুল্লাহ জানান, কিছুদিন আগে রায়হান হত্যা মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্তের জন্য রায়হানের মা সালমা, স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী ও সৎ বাবা হাবিবুল্লাহকে পুলিশ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার ফটকে নিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণকালে কারান্তরীণ আসামি আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদকে রায়হানের পরিবারের সদস্যদের সামনে নিয়ে আসা হয়।
এসময় তারা রায়হানের মা ও সৎ বাবার পা ধরে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চান। তবে সালমা ও হাবিবুল্লাহ এসআই আকবরদের কখনো ক্ষমা করবেন না বলে জানান।
এসময় আকবরসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা সালমা বেগমকে বলেন, ‘আমরা ভুল তথ্য পেয়ে রায়হানের মতো ভালো একটি ছেলেকে নির্যাতন করেছি। আমাদের ভুল হয়েছে। আমরা বুঝতে পারিনি। আমাদের ক্ষমা করে দিন।’
এর উত্তরে সালমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেও তো তোমাদের কাছে সেদিন প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলো। কিন্তু তোমরা সেদিন পাষণ্ড ছিলে। আমার ছেলের প্রাণ ভিক্ষা দাওনি। তাই আজ আমরাও তোমাদের কোনোভাবেই ক্ষমা করবো না।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট শহরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মারা যান। পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তে প্রথমে পুলিশ ছিল। পরে ১৩ অক্টোবর মামলাটি স্থানান্তর করা হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে। গত ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১ হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিএ-০৬