জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


অক্টোবর ০৩, ২০২১
০৬:৪৬ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ০৩, ২০২১
০৬:৪৮ অপরাহ্ন



জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের হলরুমে মসলা গবেষণা কেন্দ্র বিএআরআই শিবগঞ্জ বগুড়ার বাস্তবায়নে ও বাংলাদেশ মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এমএইচএম বোরহান উদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঝুটন চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মসলা গবেষণা কেন্দ্রে শিবগঞ্জ বগুড়ার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ফারুক হোসাইন। 

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান ও মো. আশরাফুল আলম। দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জৈন্তাপুর উপজেলার সকল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জৈন্তাপুরে মসলা জাতীয় ফসলের আধুনিক উৎপাদন এসএ,এসএসএ ও এসএএও শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা বলেন, গোটা বিশ্বে প্রায় ১শ ৫০ জাতের মসলা উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৪০ প্রকারের মসলা উৎপাদিত হচ্ছে। আমাদের দেশে অধিকতর মসলার ব্যবহার হওয়া বেশির ভাগ মসলাই বিদেশ হতে আমদানী করতে হয়। দেশীয় মসলা বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। যেমন রপ্তানী পণ্যের মধ্যে জৈন্তাপুরের তেজপাতা অন্যতম। 

আমরা পেয়াজের জন্য অনেকটা ভারত নির্ভর ছিলাম। বর্তমানে পেয়াজ উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। যা কিছু দিন পূর্বেও এই স্থান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দখলে। জৈন্তাপুর উপজেলায় সরকারী বরাদ্ধ থাকলে পেয়াজ উৎপাদনে জৈন্তাপুর এগিয়ে যাবে। জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণার ফল বারি গোলমরিচ জৈন্তা গোলমরিচ নামে বাংলাদেশের সর্বত্র পরিচিত। এছাড়া তেজপাতা, এলাচ সহ বিভিন্ন রকম মসলা জাতীয় গবেষণায় জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

আর কে/বি এন-০২